ন্যাভিগেশন মেনু

তাড়াশে আট মাসে ২৬ ট্রান্সফরমার চুরি


সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গত আট মাসে বিভিন্ন এলাকার ২৬টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এতে বারবার টাকা খরচ করে ট্রান্সফরমার কিনতে গিয়ে হাজারো গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। 

এ বিষয়ে থানায় এফআইআর  (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত ট্রান্সফরমার চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

সরেজমিন ও পল্লী বিদ্যুৎ তাড়াশ জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন থেকে এ বছরে জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত ২১টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এরমধ্যে গত বৃস্পতিবার দিবাগত রাতেই চুরি হয়েছে ৫টি ট্রান্সফরমার। যার দাম প্রায় ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।

ভুক্তভোগী সোলায়মান, আবু সাইদ মোল্লা, আ. রশিদ, সুলতানসহ আরও অনেকেই বলেন, আমাদের এলাকায় ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার ভয়ে শিকল দিয়ে খুঁটির সঙ্গে আটকে রেখেছিলাম। তবুও চুরি হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারিনি। এখন আমরা অর্ধশতাধিক পরিবার অন্ধকারে বসবাস করছি। আর নতুন করে ট্রান্সফরমার আনার ভর্তুকির টাকাও যোগাতে পারবে না অনেক পরিবার। আমাদের এখানে সবাই কৃষক, ভ্যানচালক, দিনমজুর। আমার এখন আতঙ্কে আছি। তবে রাতে পুলিশের টহল জোরদার করলে চুরির ঘটনা ঠেকানো সম্ভব।

এ বিষয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (তাড়াশ জোনাল অফিস) ডিজিএম মো. আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, 'এ বছরে আমাদের কার্যালয়ের আওতায় ২৬টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। মামলা দিচ্ছি, কিন্তু এখনও চোর ধরা পড়েনি। চুরি ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। জনসচেতনতা বাড়াতে এলাকায় মাইকিং করেছি। এ ছাড়াও গ্রাহকদের বলছি আপনারা একটু সজাগ থাকুন। এর পরও চুরির ঘটনা ঘটছে।'

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনার তদন্ত এবং এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এমএসএম/এডিবি/