ন্যাভিগেশন মেনু

তাড়াশে প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু


সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে তাড়াশ পৌরএলাকার জাহাঙ্গীরগাতী মহল্লায় প্রবাসফেরত স্বামীর বাড়িতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তাড়াশ থানা পুলিশ প্রবাসী নাজিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

রোজিনা খাতুন ওই মহল্লার মৃত গোলাপ সরকারের ছেলে প্রবাসফেরত নাজিম উদ্দিনের সাবেক স্ত্রী ও তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার মৃত মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত বৃহস্পতিবার প্রবাসফেরত নাজিম উদ্দিনের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তার বাড়িতে আসে এবং সেখানে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে রোজিনার নাজিম উদ্দিনের বাড়ির বারান্দার ধরণার সাথে গলায় ওড়না পেচানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশিরা থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার সকালে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেন।

এ দিকে গৃহবধুর ভাই শহিদুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলী জানান, বছর দুয়েক আগে তাদের বোন রোজিনা খাতুনের প্রবাসফেরত স্বামী নাজিম উদ্দিনের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তালাক হয়ে যায়। এছাড়া তাদের ঘরে প্রতিবন্ধী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ সময় উভয় পরিবারের লোকজনের মাধ্যেমে গৃহবধুকে দেনমোহর ও প্রতিবন্ধী সন্তানের লালন ও পালনের জন্য ৫ লাখ টাকা প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা হয়।

পরে গত বৃহস্পতিবার রোজিনার সাবেক স্বামী তাকে নিয়ে আবার সংসার করার ইচ্ছা ব্যক্ত করে তার বাড়িতে আসার জন্য বলেন। সেখানে রোজিনা যাওয়ার পর পুর্বের তালাকের সময় দেওয়া ৫ লাখ টাকা ফেরত দিলে তাকে নিয়ে সংসার করা হবে এ রকম বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়।

রোজিনার ভাইদের দাবি তাদের বোনকে টাকার জন্য পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) ফজলে আশিক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এমএসএম/সিবি/এডিবি/