ঢাকার বাইরে তুলনামূলক কম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরবানির হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।
এ সময় মেয়র বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীর ভেতরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসবে না। হাটের জন্য আগে যেসব দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, তা সবই বাতিল করা হবে। হাট নতুন করে ইজারা দেওয়া হবে। শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন বলেও জানান ডিএনসিসির মেয়র।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘তেজগাঁও এলাকার হাটে আমরা ভালো টাকা পেতাম। কিন্তু এবার এখানে হাট বসাব না। আফতাবনগর এলাকায় আমাদের একটা হাট বসে। পাশেই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটা হাট বসে। যেহেতু একই এলাকায় দুটি হাট বসছে, তাই আমি সেখানে হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘উত্তরা ১০, ১১ ও ১২-এই তিনটি সেক্টরে বড় হাট বসতো। গত বছর এই হাটে ইজারা মূল্য পাওয়া গিয়েছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কিন্তু এবার এই হাট আমরা দেব না। উত্তরার লোকজন উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন এলাকা থেকে পশু কিনতে পারবেন।’
তিনি আরও জানান, ‘মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বছিলার ভেতরে রায়েরবাজার কবরস্থান এলাকায় একটা হাট দেওয়া হবে। এ ছাড়া হাট থাকবে পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী ও ১০০ ফুট সড়কের সাইদ নগর এলাকায়।’
এ ছাড়া গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট থাকবে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘করোনার সংক্রমণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা ঢাকার ভেতরে পশুর কোনো হাট না রাখার কথা ভাবছি।’
এমআইআর/এডিবি
