ন্যাভিগেশন মেনু

ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতার জন্য ৭ সবজি


সুন্দর ও সাস্থ্যজ্জল ত্বকের জন্য কেবল রূপচর্চাই যথেষ্ট নয়। এজন্য খাদ্য তালিকায় রাখা চাই এমন কিছু সবজি যা ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও সুন্দর করে। সবজির পাশাপাশি তাজা ফল ও পর্যাপ্ত পানি পান করাও জরুরি। জেনে নিন কোন সবজিগুলো নিয়মিত খেলে পাবেন উজ্জ্বল ত্বক।

 শসা

কেবল ওজন কমাতেই নয়, ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও অতুলনীয় শসা। প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে এতে। শসাতে পানি আছে শতকরা ৯৫ ভাগ। ফলে এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে এবং ভেতরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে দেহ শীতল রাখতে সহায়তা করে। শসায় ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। এছাড়া ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ মিলবে এ সবজি থেকে। এসব উপাদান ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রোধ করে। মিনারেলসমৃদ্ধ শসা নখ ভালো রাখতে, দাঁত ও মাড়ির সমস্যায় সাহায্য করে।

পালং শাক

বিটা-ক্যারোটিনযুক্ত পালংশাক খেলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পাবে। এছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আয়রন ও ফলেট (ফলিক অ্যাসিড) পাওয়া যায় পালং শাক থেকে। এগুলো রক্তের সঠিক চলাচলে সাহায্য করে ও ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে ত্বক। পালংশাকে উপস্থিত ভিটামিনকে এবং ফলেট ত্বককে ফর্সা করে তোলার পাশাপাশি ডার্ক সার্কেলকে দূর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে পালংশাক দিয়ে বানানো পেস্ট যেমন মুখে লাগাতে পারেন, তেমনি পালংশাকের রস খেলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।

করলা

করলা (করল্লা, উচ্ছা, উচ্ছে) এক প্রকার ফল জাতীয় সবজি। তিতা করলা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে এটি ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল করে। এছাড়া করলা উচ্চরক্তচাপ ও চর্বি কমায়। করলার ভিটামিন সি; ত্বক ও চুল ভালো রাখে।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই। এগুলো ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে পাবেন উজ্জ্বল ত্বকও। এছাড়া একটি মিষ্টি আলুতে প্রায় চার গ্রাম উদ্ভিজ্জ ফাইবার রয়েছে, যা আপনাকে স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়, যেমন- টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও উচ্চ কোলেস্টেরল

গাজর

প্রাকৃতিক উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে নিয়মিত গাজর খাওয়ার বিকল্প নেই। গাজর খেলে ত্বকে পটাশিয়ামের অভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। এছাড়াও গাজরে রয়েছে এমন কিছু ভিটামিন ও মিনারেল, যা ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এছাড়া সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে ত্বক। গাজর চুল পড়া কমায়, চুলকে শক্ত ও মজবুত করে। গাজর দাঁতের সুরক্ষা দেয়। দাঁত পরিষ্কারক হিসেবে যেমন কাজ করে, তেমনি দাঁতের গোড়ায় ক্যালকুলাস জমতেও বাধা দেয়।

ক্যাপসিকাম

নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেলে ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যাবে না। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন বি-৬ এবং সি ত্বকের কোষ সুস্থ রাখে। প্রতি ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে রয়েছে- ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন ৪.৬০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ১.৭০ মিলিগ্রাম স্নেহ, ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ৩৭০ আইইউ ভিটামিন এ। এছাড়া ক্যাপসিকাম দেহের বাড়তি ক্যালরি পূরণে সহায়তা করে। ফলে উচ্চ চর্বি থেকে স্থূলতা হওয়ার সুযোগ হ্রাস করে।

বাঁধাকপি

পার্পল এবং সবুজ বাঁধাকপিতে সিলিকন, সালফার থাকে যা আমদের ত্বকের জন্য উপকারী। এটি অসমোসিস পদ্ধতিতে আমাদের কোষে সঞ্চিত বর্জ্য পদার্থ দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য বাঁধাকপি রাখুন খাদ্য তালিকায়। এতে থাকা সালফার, ভিটামিন সি, কে এবং বি-৬ ত্বক রাখে সুন্দর ও উজ্জ্বল। বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বকের সমস্যা দূর করে। নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।

ওয়াই এ/এডিবি