ন্যাভিগেশন মেনু

ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগারদের জয় দিয়ে শুরু


দুশ্চিন্তাকে হটিয়ে টাইগাররা অবশেষে জয় দিয়ে শুরু করলো ত্রিদেশীয় সিরিজ।

প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে হারার পর টাইগারার একটু দুশ্চিন্তায় ছিল। কিন্তু ডাবলিনে প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাত্তাই পেল না বাংলাদেশের কাছে। অবশ্য টাইগার দলপতি আগেই বলেছিলেন প্রস্তুতি ম্যাচের ফলাফল নিয়ে ভাবছেন না।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে মাশরাফিরা কেমন করবে, সেই সংশয় কাটিয়ে ক্যারিবীয়দের ৮ উইকেটে হারিয়ে মাশরাফিরা বুঝিয়ে দিলেন, মূল মঞ্চে তাঁরা অন্য রকম। এ জয়ে বড় কৃতিত্ব অবশ্যই বাংলাদেশের দুই ওপেনারের। ২৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং জুটি এনে দিয়েছিল ৮৯ রান।

তামিম-সৌম্য দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে যোগ হয় ১৪৪ রান । ৮ম ফিফটি তুলে নেন সৌম্য ৭৩ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ব্যক্তিগত ৮০ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ক্যারিবীয়দের চেয়ে ভালো শুরু এনে দেন তাঁরা। আর তাতেই যেন পরিষ্কার হয়ে যায় ম্যাচের গতিপথ। সাকিব-মুশফিকের অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ হয় ৬৮ রান। সাকিবও তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪১তম ফিফটি । সাকিব ৬১ রানে আর মুশফিকুর রহিম ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। মুশফিক-সাকিবের ফিনিশিংয়ে বাংলাদেশ সহজেই ২৬১ রান টপকে যায়।

বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতে সুবিধা করতে না পারলেও মাঝের সময়ে টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্যারিবীয়দের মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি। বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট পেলেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব ও মিরাজ। তবে ১০ ওভারে ৪৯ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়ে টাইগারদের সেরা বোলার মাশরাফি। এছাড়া, দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মুস্তাফিজ। আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়ে , আইরিশদের ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।