চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও তাঁর পত্নী ফেং লি ইউয়ান ১৮ নভেম্বর থাইল্যান্ডের ব্যাংককের গ্র্যান্ড প্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদা ভাজিরালংকর্ন আয়ুধ্যা’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এসময় সি চিন পিং ও ফেং লি ইউয়ান থাই রাজা ও রানির সঙ্গে নানা বিষয়ে আলাপ করেন এবং ছবি তোলেন।
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন ও থাইল্যান্ড হল ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী, বন্ধু, আত্মীয়, ও অংশীদার। চলতি বছর হল দু’দেশের সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দশম বার্ষিকী। ব্যাংককের সঙ্গে মিলে চীন-থাইল্যান্ড অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তুলতে ইচ্ছুক বেইজিং।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, ‘থাই রাজা এবং রাজপরিবার দীর্ঘকাল ধরে চীন ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার বন্ধুত্বকে সমর্থন করে আসছে। এটি দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের উত্তরাধিকার ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে একটি বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমি এর প্রশংসা করি।’
তিনি বলেন, ‘চীন সার্বিকভাবে সচ্ছল সমাজ গড়ে তুলেছে এবং চীনা বৈশিষ্ট্যের আধুনিক উন্নয়ন করছে। আমি রাজা ও রাজপরিবারের সদস্যদেরকে চীন ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানাই। চীন সব সময় রাজপরিবারের বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী ও জনকল্যাণমূলক পরিকল্পনায় সমর্থন অব্যাহত রাখবে, এবং দু’দেশের সংস্কৃতি, শিক্ষা, ও পর্যটন খাতের যোগাযোগ জোরদার করবে।’
এবারের এপেক অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করায় থাইল্যান্ডকে অভিনন্দন জানান সি চিন পি।
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও তাঁর স্ত্রীকে থাইল্যান্ড সফরে স্বাগত জানিয়ে থাই রাজা বলেন, প্রেসিডেন্ট সি’র বিজ্ঞ নেতৃত্বে চীন ক্রমশ সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
দেশ পরিচালনায়, বিশেষ করে দারিদ্র্যবিমোচন ও জনগণের জীবন-জীবিকার উন্নতিতে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর অসামান্য সফলতার প্রশংসা করেন থাই রাজা। এসময় পুনরায় চীন সফরের প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি। - সূত্র: সিএমজি