শেয়ারবাজারে দরপতন থামছেই না। শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী।
তবে এতে তেমন কোন সুফল মেলেনি বিনিয়োগকারীদের জন্য। দিন দিন দরপতনের মাত্রা বেড়েই চলছে।
গতকাল বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমে ২ বছর ৯ মাস আগের অবস্থানে গিয়েছে। আর অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সব সূচকও কমেছে। কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৮৮ পয়েন্টে। যা ২ বছর ৯ মাস ৬ দিনের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে। সেদিন ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে। ডিএসইতে ৩৭১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া, আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৩৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৫২টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৯৭টির দর বেড়েছে। কমেছে ২১৪টি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪১টির দর।
আরো পড়ুনঃ
২৮ কোম্পানি পুঁজি বাজারে না এলে সনদ বাতিলঃ অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোতে অনলাইন লেনদেনের উদ্যোগ
টাকার পরিমাণে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা মুন্নু জুট স্টাফলার্সের ১৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে স্কয়ার ফার্মা।
ডিএসইর শীর্ষ দশে লেনদেনের অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে, সিনো বাংলা, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, স্টাইলক্রাফট, জেএমআই সিরিঞ্জ, ফরচুন সুজ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স এবং ইউনাইটেড পাওয়ার। এদিকে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৪৯ পয়েন্টে। সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৭০টির।
এমআইআর/ এস এস
