ন্যাভিগেশন মেনু

দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হলো ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদ


করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ১৮১ দিন বন্ধের পর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রথম দিনেই ভীড় ছিল বিশ্ব ঐতিহ্য বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন ষাটগম্বুজ মসজিদে। প্রধান ফটকের মধ্যে টিকিট কাউন্টার খোলা হয়। এ সময় সামাজিক দূরত্বে ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সচেষ্ট ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মীরা।

দীর্ঘদিন পরে আজ প্রথম ষাটগম্বুজ মসজিদ উন্মুক্ত হওয়ায় এক নতুনমাত্রা যোগ হয়েছে। দর্শনার্থীদের মধ্যে এক ধরণের উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। যার ফলে এক সাথে অনেক দর্শনার্থী দেখা যায়নি ষাটগম্বুজ এলাকায়।

তারপরও দীর্ঘদিন পর ষাটগম্বুজে প্রবেশ করতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর দর্শনার্থী প্রবেশ করায় আনন্দিত স্থানীয় বাসিন্দা ও ষাটগম্বুজ কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘদিন পর ভেতরে প্রবেশ করে শিশুরা বিভিন্ন রাইডে চড়েন। প্রধান ফটক থেকে ঢুকেই ডান পাশে অবস্থিত বাগেরহাট যাদুঘরে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখেন দর্শনার্থীরা। তারপরে ষাটগম্বুজ মসজিদের ভেতর ও বাহিরের নয়নাভিরাম টেরোকাটা উপভোগ করেন তারা। ষাটগম্বুজ মসজিদ চত্বরে ফোটা নানা রঙ্গের ফুল দর্শনার্থীদের আরও বেশি বিমোহিত করেছে।

দর্শনার্থীরা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে ষাটগম্বুজ বন্ধ ছিলো। আজ সকালে খোলায় আমরা এখানে এসেছি। প্রথমে গেটের সামনে রাখা হাত ধোয়ার পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়েছি। টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করেছি। মাস্ক ছাড়া কাউকে ষাটগম্বুজের ভিতর প্রবেশ করতে দেয়নি। এটা খুবই ভাল লেগেছে আমাদের।

স্থানীয় লুৎফর রহমান বলেন, আসলে ষাটগম্বুজ মসজিদ আমাদের একটি গর্বের জায়গা। করোনা পরিস্থিতিতে মার্চ থেকে এখানে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিলো। আমাদের মনের মধ্যে একটি চাপা কষ্ট ছিল। আজ অনেক ভাল লাগছে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদাউস বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ১৯ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল ষাটগম্বুজ মসজিদ। সংস্কৃত বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আজ আমরা ষাটগম্বুজ মসজিদ উন্মুক্ত করে দিয়েছি। প্রথম দিনেই অনেক দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আমরা আশা করবো দর্শনার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ষাটগম্বুজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন।

আ আই/ ওয়াই এ/এডিবি