২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুপুর ৩টা থেকে আগামী অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রস্তাবিত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন-চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তনের সর্বোচ্চ হার ৫ শতাংশ, যা ভিত্তি মূল্য নির্বিশেষে ২ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমানে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এম এস স্ক্রাফ সরবরাহের উপর উৎসে আয়কর কর্তনের সর্বোচ্চ হার ৫ শতাংশ। স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এম এস স্ক্রাফ সরবরাহকারী ব্যবসায়ীগণের আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবং যৌথ উৎপাদন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এম এস স্ক্রাপের সরবরাহের উপর উৎসে আয়কর কর্তনের হার ভিত্তিমূল্য নির্বিশেষ ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমানে রসুন ও চিনি আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর সংগ্রহ করা হয়। এই হার ৫ শাতংশ থেকে হ্রাস করে ২ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বর্তমানে হাঁস-মুরগীর খাদ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়। পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে এই অগ্রিম আয়কর আরোপ ৫ শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়াও তৈরি পোশাক খাতে উৎস কর ৫ শতাংশ, গ্রিন পোশাক কারখানার কর হার ১০ শতাংশ, অন্যদের ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে যা ২০২২ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এবারের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি ১,৮৯,৯৯৭ কোটি টাকা। মোট আয় ধরা হয়েছে ৩,৮২,০১৬ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব ৩,৭৮,০০৩ কোটি টাকা। আর এডিবি নির্ধারণ করা হয়েছে ২,০৫,১৪৫ কোটি টাকা। বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৮.২০ শতাংশ এবং মুদ্রাস্ফীতি ৫.৪ শতাংশ।
এমআইআর / এস এস