দেশের পরিবেশ ও বনের সুরক্ষা ও উন্নয়নে জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিবসের প্রথম কার্য-অধিবেশন শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সহায়তা কামনা করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নিষেধাজ্ঞাকালে মৌয়াল ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধিভূক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন, টাঙগুয়ার হাওরসহ প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় পরিবেশ ও ইকো-সিস্টেমের সুরক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সেন্টমার্টিনে কোন অবস্থাতেই যাতে নতুন স্থাপনা গড়ে না ওঠে সেদিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, যত্রতত্র অবৈধ ইটভাটা স্থাপন, জ্বালানি হিসেবে বনজ কাঠের অবৈধ ব্যবহার, নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ, অবৈধভাবে পাহাড়-টিলা কর্তনকারী, অবৈধ করাতকল, বনভূমি ও নদী-খাল-জলাশয় জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকদের ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, এছাড়াও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ, বনায়ন কার্যক্রম, ইউকেলিপটাসসহ ক্ষতিকারক বৃক্ষ রোপণ রোধ, বনভূমি বন্দোবস্ত না দেয়া, অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী ও পারিযায়ী পাখির নিধন প্রতিরোধ, সংরক্ষিত বন ঘোষণার কার্যক্রমে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা করতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে নিয়মিত আলোচনা ও সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসকগণ জেলার মাসিক উন্নয়ন সভায় পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এজেন্ডা অন্তর্ভূক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এসকল বিষয়ে সফলতা অর্জনে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন তাই জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণের জন্যও জেলা প্রশাসকদের সহায়তা কামনা করা হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।