ন্যাভিগেশন মেনু

দেশে কী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসে গেল? ২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু আজ


বাংলাদেশে কী তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসে গেল? কেননা ২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটলো আজ মঙ্গলবার।  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক দিনেই ৩৯ জনের মৃত্যু, যা গত ৫৮ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ২৫৪ জনের। শীতের শুরুতে দেশে করোনা ফের বাড়তে শুরু করেছে। যা শীতের আগমন নাকি স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা ধন্ধে স্বাস্থ্য বিশারদরা? গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছিলেন।

অবশ্য করোনা প্রতিরোধ করতে দেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা চালু করতে উদ্যোগী হাসিনা সরকার। পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনের নিয়মও জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বাইরে থেকে আসা প্রত্যেককেই কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা বলেছিলেন। ইতিমধ্যেই ঢাকায় শীতের আগমনী বার্তা ভালই জানিয়ে দিচ্ছে।

ভোরে রাতের দিকে আর খালি গায়ে থাকা যাচ্ছে না। গ্রামের দিকে রীতিমতো লেপ নামাতে হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে শীত ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে কোভিড-১৯-কেও।করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।

 অবশ্য করোনা আবহে বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশকে করোনা ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবে। এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে নিয়ে আসবে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস (Beximco Pharmaceuticals)।

একজন ব্যক্তির জন্য দুই ডোজ হিসেবে দেড় কোটি মানুষকে এটা দেওয়া হবে। ডোজের এই পরিমাণটা নিরাপদ ও কার্যকর বলেই প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অক্সফোর্ড টিকার অনুমোদন দিলে বাংলাদেশে এই টিকা আসবে।

এখানে প্রতি ডোজ টিকার দাম পড়বে ৫ ডলার বা ৪২৫ টাকা।আসছে শীত। করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশেও। এর মধ্যে আবার ইউরোপে হু হু করে বাড়ছে রোগী।

শুরুর দিকে করোনার সংক্রমণ কমের দিকে থাকলেও মে’র মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২১২ জন।এ নিয়ে দেশে আক্রান্তে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৪ জন। আরও ৩৯ জনের মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ২৫৪ জন।গত একদিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৭৪৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৫ জন হয়েছে।দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। গত বছরের ডিসেম্বরে চিনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ কোভিড ১৯-কে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এস এস