ন্যাভিগেশন মেনু

ধর্ষিতা মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা


কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে এক মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে মনের গ্লানিতে আত্মহত্যা করেছেন। ওই ছাত্রীকে শুক্রবার রাতে তিন বখাটে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে অপমান সইতে না পেরে শনিবার ভোরে নিজ বাড়িতে বিষপান করে আত্মহত্যা করে।

ছাত্রীর বাবা গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সময় আমি ও আমার স্ত্রী বাঁশখালীর পুঁইছড়ি আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। শনিবার ভোরে ছেলে রাসেল ফোন দিয়ে জানায়, তার বোন বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে। পরে দ্রুত বাড়ি ছুটে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে পারি-শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তিন বখাটে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে একটি মৎস্য ঘেরে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে শনিবার ভোর রাতে ধানচাষের জন্য বাড়িতে রাখা বিষপান করে আমার মেয়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

ছাত্রীর বাবার দাবি, একই এলাকার মৃত বাদশার ছেলে আলমগীর, নুরুল হকের ছেলে রবি আলম ও বাঁশখালী ছনুয়া এলাকার মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশেম মিলে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে হয়রানি করতো বলেও অভিযোগ করেন ছাত্রীর বাবা।

পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর সত্যতা পাওয়া গেলে ধর্ষণের বিষয়টি যুক্ত করা হবে।

এস এস