ন্যাভিগেশন মেনু

ধুনটে ভাতিজাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী, চাচা গ্রেপ্তার


বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দুই লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ভাতিজা মনিরুজ্জামানকে উদ্ধারের সময় অপহরণকারীকে চাচাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী মনিরুজ্জামান উপজেলার জয়শিং গ্রামের তসলিম মন্ডলের ছেলে।  অন্যদিকে, অপহরণকারী সম্রাট হোসেন জয়শিং গ্রামের মিন্টু মন্ডলের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, অপহরণকারী সম্রাটের ভাতিজা মনিরুজ্জামান। শনিবার বিকেলে স্থানীয় সোনাহাটা বাজারে বেড়ানোর কথা বলে মনিরুজ্জামানকে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান চাচা সম্রাট। চাচা ভাতিজা মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘুরতে ঘুরতে একই এলাকায় এলাঙ্গী গ্রামের ফাঁকা মাঠের ভেতর রাস্তায় পৌছে। অপহরণকারীদের পরিকল্পনা অনুযায়ি সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন সম্রাটের মামাতো ভাই রাঙ্গামাটি গ্রামের জাকারিয়া (২২) ও রুহুল (২০)।

এ অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টার দিকে মনিরুজ্জামানের মোবাইল ফোন থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মনিরুজ্জামানের বাবাকে ফোন করে তাদের জিম্মিদশা থেকে মনিরুজ্জামানকে মুক্ত করতে চাইলে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। এছাড়া দুইঘন্টার মধ্যে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করেন অপহরণকারীরা। কিন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা না পেয়ে অপহরণকারীরা মনিরুজ্জামানকে মারধর করতে থাকে।

এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামান কৌশলে অপহরণকারীদের হাত থেকে সটকে পড়ে এলাঙ্গী গ্রামের আমজাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সংবাদ পেয়ে শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় মনিরুজ্জামানকে উদ্ধার এবং  সম্রাটকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় মনিরুজ্জামানের বাবা তসলিম মন্ডল বাদী হয়ে সম্রাট, জাকারিয়া ও রুহুলের বিরুদ্ধে রবিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বর্মন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এস এ /এডিবি