ন্যাভিগেশন মেনু

তানোরে মধ্যযুগীয় কায়দায় দুই যুবককে নির্যাতন


রাজশাহীর তানোরে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় রাতভর নির্যাতন করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়।

আহতরা হলেন - উপজেলার মোহর গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে সেলুন ব্যবসায়ী ফিরোজ কবির (২৪) ও একই গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে ট্রলিচালক জসিম উদ্দীন (২৮)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ‘গত রবিবার রাতে নির্যাতনের শিকার ওই দুই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের আত্মীয় দেবূীপুর গ্রামের জোহরার বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। খাবার শেষে ওই বাড়ি থেকে বের হওয়া মাত্র রহিমসহ গ্রামের কয়েকজন ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ফিরোজ ও জসিমকে আটক করে বেঁধে ফেলে। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে। পরে দুইজনকে রাতভর নির্যাতন করা হয়।’

নির্যাতনের শিকার ফিরোজের মামা কামাল হোসেন জানান, ‘রাতেই স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মামুনুর রশিদ গিয়ে তাদের বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় মামুনের পায়ে পেরেক পোতার নির্দেশ দিলে রহিম হাতুড়ি দিয়ে ফিরোজের পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেয়। তারা ফিরোজের পায়ে পেরেক পুঁতে চোর হিসেবে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক মাস আগে দেবিপুর বাজারে ফিরোজের সেলুন ছিল। সেলুনে চুল কাটা নিয়ে ফিরোজের সঙ্গে রহিমের দ্বন্দ্ব হয়েছিল। এ কারণে ফিরোজ সেখান থেকে সেলুন গুটিয়ে নিয়ে তার নিজ গ্রামে গিয়ে সেলুন দেয়। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে রহিম এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ‘দুই যুবককে হাসপাতালে ভর্তির পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অস্ত্র প্রচার করে ফিরোজের পা থেকে পেরেক বের করা হয়েছে। তারা দুইজনই আশঙ্কামুক্ত।’

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার ফিরোজের বাবা ইসাহাক আলী বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ওয়াই এ/এডিবি