ন্যাভিগেশন মেনু

২০২২ সালে স্কুল ও মাদ্রাসায় কারিগরি শিক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী


নবম দশম শ্রেণিতে অন্তত দুটি ট্রেড বাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থা নিয়েছি। করোনার পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী না হলে আশা করছি ২০২২ সালে সবস্থানে কারিগরি শিক্ষা চালু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সোমবার (৩১ আগস্ট) ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা: এসডিজি অর্জনে করণীয়’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

শিক্ষা বিয়ষক রিপোর্টাদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে। এগুলো হবে অত্যন্ত আধুনিক মানের। এ কারণে সাধারণ শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষাতেও আমরা কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে তুলছি।’

ডা. দীপু মনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজন মানোন্নয়ন। আমাদের দীর্ঘদিন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। সেই নিয়োগ দেবার বড় উদ্যোগ নিয়েছি। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। মানসম্মত ল্যাব, ইকুইপমেন্ট এগুলো থাকতে হবে, ইন্ডাস্ট্রিজ ও অ্যাকাডেমির মধ্যে সংযুক্তি খুব জরুরি।

শিক্ষামন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কারিগরির অনেক সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নাকি বলেন, তারা শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট করছেন। বরং যারা অন্যান্য শিক্ষায় আছে তারা সনদধারী হয়েও কর্মসংস্থান হচ্ছে না। আমাদের এদিকেও মনোযোগ দিতে হবে, সবাইকে চাকরি খুঁজলে হবে না। উদ্যোক্তা হতে হবে, অনেককেই নিজের কর্মসংস্থান নিজেকেই সৃষ্টি করতে হবে। কাজেই সেই মনোভাবটিও আমাদের গড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীকে শুধু পড়াশোনা করে চাকরির জন্য বসে থাকলে হবে না, তাকে উদ্যোক্তা হতে হবে। আমরা সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে চাচ্ছি।’

ইরাবের সভাপতি মোসতাক আহমেদের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোরাদ হোসেন মোল্লা, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম প্রমুখ।

এমআইআর/এডিবি