নাটোরের বড়াইগ্রামে ১৬ বছর বয়সি নিজের মেয়েকে আটকে রেখে দুইমাস ধরে লাগাতার জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে তার বাবা। এ অভিযোগে ধর্ষক বাবা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছে মেয়েটির মা মোসাম্মৎ রেখা।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ৪০ বছর বয়সি ওই মানুষরূপী পিশাচের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম উপজেলার বড়াইগ্রাম পৌরশহরের গোয়ালফা এলাকার বশরত মন্ডলের ছেলে।
জানা যায়, শরিফুল ইসলাম সাধক ফকির-তরিকায় সন্নাসীব্রত হলে গত দুইবছর আগে স্ত্রী রেখা তাকে ছেড়ে অন্য একজনকে বিয়ে করেন। ফলে শরিফুল ইসলামের মেয়ে নাটোরের দিঘাপতিয়া পূর্ব হাগুরিয়া গ্রামের তার নানা আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে থাকে।
গত কোরবানির ঈদের ৬ দিন আগে লম্পট বাবা শরীফুল বিভিন্ন কৌশলে মেয়েকে বড়াইগ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে আসে এবং জোরপূর্বক আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানায়, সর্বশেষ গত রবিবার রাতে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর আগে দুইমাস যাবৎ লম্পট পিতা তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছে।
মেয়েটি এই ঘটনা দাদা বশরত আলী ও তার দাদীকে জানালেও এতে কোন লাভ হয়নি বরং সে আরও অসহায় হয়ে পড়ে। এতে বিভিন্ন সময় যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি শারীরিকভাবেও নির্যাতনের শিকার হয় সে। পরে মেয়েটি তার নানীকে ঘটনা খুলে বললে মেয়েটির মা ও নানী গত সোমবার এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও থানায় মামলা দায়ের করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, এ ব্যাপারে মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত শরীফুল পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।
সিবি/এডিবি
