ন্যাভিগেশন মেনু

নাটোরে মোটরসাইকেলের জন্য মেয়ের হাতে মা খুন


নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি মোটরসাইকেলের জন্য নিজের মা সেলিনা খাতুনকে গলাকেটে খুন করেছে মেয়ে ববি খাতুন।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। 

তিনি জানান, গুরুদাসপুর উপজেলার উত্তর নারীবাড়ী মহল্লার নজরুল ইসলাম ও সেলিনা বেগম দম্পতির মেয়ে ববি খাতুনের সাথে মালয়েশিয়াফেরত আপন খালাতো ভাই সোহেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ছয়মাস আগে সোহেল দেশে ফিরে এলে ববির (২০) সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ববি তার স্বামী সোহেলকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দিতে মা সেলিনা খাতুনকে চাপ দেয়। কিন্তু সেলিনা খাতুন তা দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে মা মেয়ের মধ্যে কলহ শুরু হয়। গত রবিবার ববি মায়ের বাড়িতে আসে এবং দুলাভাই আরিফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে পুনরায় মোটরসাইকেলের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু মা মোটরসাইকেল কিনে দিতে ফের অস্বীকার করে।

সর্বশেষ গত সোমবার বিকালে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ববি ব্লেড দিয়ে শুয়ে থাকা মায়ের শ্বাসনালী কেটে ফেলে। এর কিছুক্ষণ পর মারা যান সেলিনা বেগেম।

তিনি আরও জানান, মায়ের মৃত্যুর পরে ববি বাড়ির পাশে একটি দোকানে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করে এবং সময়ক্ষেপণ করে বাড়িতে এসে চিৎকার শুরু করে তার মাকে কে বা কারা হত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ববিকে জেরা করে তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা পায় এবং বালতিতে ববির রক্ত মাখা কাপড় চোপড় দেখে সন্দেহ হলে তাকে আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে ববি হত্যার কথা স্বীকার করে জানায় তার মাকে হত্যার পরে সে ৯ ভরি স্বর্ণালংকার লুকিয়ে ফেলে।

পরে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সেলিনা খাতুনের ঘরের চৌকির নিচ থেকে রক্তমাখা ব্লেড উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রেস ব্রিয়িংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক যুবায়ের, সিনিয়র পুলিশ সুপার জামিল আকতার এবং গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।

কেআর/ ওয়াই এ/এডিবি