ন্যাভিগেশন মেনু

অপহরণের ২ দিন পর মার্কেট থেকে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার


রাজধানীর মিরপুরে অপহরণের দুই দিন পর মিরপুর শাহ আলী মার্কেটের ১৩তলা থে‌কে স্কুলছা‌ত্র সামনুনের মরদেহ উদ্ধার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সামনুরের মা এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ এখন পর্যন্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন - নুর আলম, ইউসুফ, খায়রুল ও মাহফুজ। মামলার অপর আসামি ইয়াসিন আরাফাত রকি পলাতক আছেন।পরে তাদের দেওয়া ত‌থ্যের ভি‌ত্তি‌তে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকা‌লে মামু‌নের মর‌দেহ উদ্ধার করা হয়।

সামনুর মিরপুর-৬ এলাকার বাসিন্দা রোকসানা পারভিনের ছেলে। সে মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।

অপহরণকারীরা জানায়, মুক্তিপণ চাইলেও অপহরণের কিছুক্ষণ পরই সামনুনকে হত্যা করা হয়।

এর আগে বৃহস্প‌তিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ‌মিরপু‌রে ব্যাড‌মিন্টন খেলার সময় স্কুলছাত্র সামনুনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। রাতে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে রোকসানার কাছে ফোন আসে। পরদিন তিনি মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

মিরপুর থানার উপপরিদর্শক তামিম রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে মিরপুর থানা ও ডিবি পুলিশ আলাদাভাবে তদন্তে নামে। এর মধ্যে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের দাবি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় নামিয়ে আনে। রোকসানা বিকাশের মাধ্যমে কয়েক ধাপে ৬০ হাজার টাকা দেন।

পুলিশ জানায়, রোকসানা ও তার প্রথম স্বামীর সন্তান সামনুর হোসেন। তারা ইতালি থাকতেন। ছেলের জন্ম সেখানেই। সামনুরের নয় মাস বয়সে রোকসানার স্বামী মারা যান। এরপর সন্তানসহ তিনি দেশে ফিরে আসেন। এক বছর পর আরেক ব্যক্তির সঙ্গে রোকসানার বিয়ে হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নুর আলম রোকসানার দ্বিতীয় স্বামীর সৎ ভাই ও মাহফুজ দুঃম্পর্কের আত্মীয়।

শিশুটির মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, বিস্তারিত তদন্ত করলে জানা যাবে। অপহরণের পাশাপাশি পারিবারিক দ্বন্দ্বের কোনো ঘটনা আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এডিবি/