ন্যাভিগেশন মেনু

নারীর জীবনে যে স্বপ্নগুলো থাকে


প্রাচীনকাল থেকেই সভ্যতা বিকাশে নারীর ভূমিকা অপরিসীম। নারী কখনো নদী, কখনো প্রকৃতি, কখনো কোমলতার প্রতীক, কখনো বা সৌন্দর্যের।

পৃথিবীতে নারীর জন্য যুদ্ধবিগ্রহের ঘটনাও কম হয়নি। নারীর জন্য বহু প্রাণহানি কিংবা সিংহাসনচ্যুতির ঘটনাও রয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ব শান্তি স্থাপনে নারীর অগ্রণী ভূমিকা ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে আছে।

একজন নারী তাঁর জীবনের বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন রকম ভূমিকা পালন করে থাকেন। কখনও সে কন্যা, কখনও বোন, কখনও স্ত্রী, কখনও মা। তাই জীবনের সর্বক্ষেত্রেই নারীর অভিজ্ঞতা থাকে। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই অনেক ব্যক্তিকেই বলতে শুনেছেন যে, ‘নারীর মন বোঝা খুব কঠিন’।

নারীদের ব্যক্তিত্বে স্নেহ, ভালবাসা, সংকল্প, উদ্যমশীলতা এবং শক্তির নিখুঁত সংমিশ্রণ থাকে। সম্ভবত, এই কারণেই নারীদের ব্যক্তিত্বকে ধরা কঠিন। একজন নারী তার জীবনটা ঠিক কীভাবে কাটাতে চান সেটা তিনি ঠিক করেই রাখেন।

কিন্তু, কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে তার ইচ্ছেগুলো পূরণ হয়, আবার কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে তাঁর ইচ্ছেগুলো অধরাই থেকে যায়।

সুতরাং, এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সাধারণত নারীরা যে জিনিসগুলো তাঁদের জীবনে চান সেগুলো সম্পর্কে আমরা আপনাদের জানাব।

চলুন জেনে নেই সে গুলো কি……

সুখী জীবনযাপনের স্বাধীনতা-

নারীদেরও সুখে বাঁচার অধিকার আছে। একটা সময় ছিল যখন প্রত্যেক মেয়েই বাড়ির চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ ছিল। যদিও সময়টি পরিবর্তিত হয়েছে, কিন্তু এখনও অনেকসময় নারীদের জীবনযাপনে বিধিনিষেধ থাকতে দেখা যায়। কোনো নারী যখন তার পছন্দ অনুযায়ী জীবনযাপন করার চেষ্টা করেন, তখন সমাজের কাছ থেকে কিছু না কিছুতে বাধাগ্রস্ত হন। কিন্তু পৃথিবীর প্রতিটি নারীই যাতে তাঁর পছন্দমতো জীবন-যাপন করতে পারেন সেদিকে আমাদেরই খেয়াল রাখা দরকার।

সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা-

সমাজ নারীদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম নির্ধারণ করেছে। যারা এই সামাজিক নিয়মগুলো পূরণ করতে অক্ষম তাঁদের নীচু চোখে দেখা হয়, যেমন - গভীর রাতে বাইরে থাকা, ছোট জামা-কাপড় পরা, অতিরিক্ত আড্ডা দেওয়া। একইভাবে কোনো নারী যদি একা ভ্রমণকারী হন তবে তিনিও সমাজের প্রশ্নের মুখে পড়েন। সমাজ কোনো নারী জীবনযাপনকে গ্রহণ করার পরিবর্তে, তাঁকে নিকৃষ্ট ও খারাপ বোধ করাতে কখনোই ব্যর্থ হয় না।

সামাজিক সহযোগিতা-

একজন নারী যখন একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছায়, তখন তাঁর পরিবার এবং সমাজ বিয়ে করার কথা বলে। সমাজ সেই নারীকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, একমাত্র বিয়ে করার মাধ্যমেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু আমরা কেন কোনো মেয়েকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়ার চেয়ে তাকে তাঁর ক্যারিয়ারের জন্য উৎসাহিত করি না এবং তাঁর ক্ষমতায়নের কথা ভাবতে পারি না?

স্বপ্নপূরণের জন্য সমর্থন-

পুরুষদের মতো নারীরাও স্বপ্ন দেখেন। আর তাঁদের স্বপ্নগুলো পূরণ করার জন্যও মানসিক সহায়তার প্রয়োজন। একজন নারী যে স্বপ্নই দেখুক না কেন, সে সবসময় চায় স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে যেন তাঁর প্রিয়জনের সমর্থন ও উৎসাহ থাকে। কারণ প্রিয়জন পাশে থাকলে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ হয়।

নিরাপদ পরিবেশে বড় হওয়া-

একজন নারীর পক্ষে শুধুমাত্র রাতে নয়, দিনেও রাস্তা দিয়ে একা চলা ভীতিকর এবং কঠিন হয়ে উঠেছে। শুধু এটিই নয়, মেয়েরা নিজের বাড়িতেও অনিরাপদ। যারা নারীদের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করে তাদের ভাবা উচিত যে, নারীরাও মানুষ এবং তাঁরাও চায় অপহরণ, হয়রানির শিকার ও শ্লীলতাহানির ভয় ছাড়াই জীবনযাপন করতে।

সঙ্গীর ভালো ব্যবহার-

কমবেশি প্রত্যেক মেয়েই চায় তাঁদের সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে। এটি অনেক সময় সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তুলতে পারে। এটি পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই সমান আনন্দদায়ক। আপনি যদি ভাবেন যে, নারীদের যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং কল্পনা থাকে না তবে আপনি ভুল হতে পারেন। নারীরা সর্বদাই উত্তেজনাপূর্ণ যৌনজীবন চান যা কেবল তাদের সন্তুষ্টই করে না, তাদের মধ্যে ভালোবাসার অনুভূতিও তৈরি করে।

সিবি/এডিবি