ন্যাভিগেশন মেনু

নাসির-তামিমার মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ


ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী তামিমা তাম্মির বিরুদ্ধে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে ৩০ মার্চ পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এর আগে তাম্মির সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়িলে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জেনেছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাকিবের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গিয়েছেন।

আরও বলা হয়েছে, তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার ৮ (আট) বছর বয়সী শিশু কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এহেন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

উল্লেখ্য, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন নাসির। বিয়ের পর থেকে বিতর্ক উঠে দু’জনকে নিয়ে। তবে সব বিতর্কের মধ্যেই গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশানের একটি বিলাসবহুল হোটেলে নাসির-তামিমার বিবাহত্তোর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের আরও দুই ক্রিকেটার।

পেশায় বিমানের কেবিন ক্রু নাসির-পত্নী তামিমার বাড়ি টাঙ্গাইলে। পারিবারিকভাবেই বিয়ে ঠিক করা ছিল নাসিরের। আকদের অনুষ্ঠানে শুধু পরিবারের সদস্যরা থাকলেও আনুষ্ঠানিক গায়ে হলুদের মতো বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হন দুই পক্ষের আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

ওআ/