ন্যাভিগেশন মেনু

নিউইয়র্কে পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন


নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে কেক কাটা ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে সামাজিক দূরত্ব কার্যক্রম অব্যাহত থাকার কারণে বিশিষ্ট মার্কিন রাজনীতিবিদ, নিউইয়র্কে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কনসাল জেনারেল ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির অংশগ্রহণে কনস্যুলেট ভার্চুয়াল সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ উপলক্ষ্যে কনস্যুলেটে আয়োজিত কর্মসূচির শুরুতে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসাসহ কনস্যুলেটের অন্যান্য সদস্যরা।

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।

এ ছাড়াও জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা ও সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, নিউ হ্যাম্পশায়ার, কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটস, মেইন রোড আইল্যান্ড এবং ভারমন্ট-এ বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির সকলকে মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির একটি উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল বলেন, অর্থনীতিসহ উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ণ, দারিদ্র বিমোচন, গড় আয়ু বৃদ্ধি ও চলমান মেগাপ্রকল্পসহ অবকাঠামোর উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে।

কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বলেই আজ আমরা বহির্বিশ্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছি।

মার্কিন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাবেন এবং নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশি-আমেরিকানদের স্বার্থ সুরক্ষায় তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন যে তিনি বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু।

বাংলাদেশি-আমেরিকান অধ্যুষিত কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্ট ডনাভান রিচার্ডস বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণেই নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু অতি অল্পসময়ের মধ্যেই একটি দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

সিবি/এডিবি/