ন্যাভিগেশন মেনু

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি শিশু ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ


শিশুদের যৌন-নির্যাতন এবং যৌন হামলার কয়েকটি ঘটনায় অভিযুক্ত বাংলাদেশি আমেরিকান আক্কাস আলী ওরফে মোহাম্মদ আলীর (৬৮) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে তার বাড়ির সামনে ক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করেছেন। 

এই বিক্ষোভে ৯ বছর আগে ধর্ষিত একজন ভিকটিমও ছিলেন। এলাকার ভিনদেশীরাও ছিলেন সরব।

নিউইয়র্ক স্টেটের হাডসন সিটির প্রমেনেডি হিলের সন্নিকটে ৩০২, স্টেট স্ট্রিটে ১১ সেপ্টেম্বর বেলা সোয়া ২টা থেকে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘জাগো হাডসন’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই সংস্থাটি দক্ষিণ এশিয়ান অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করছে।

বিক্ষোভ-সমাবেশে উল্লেখ করা হয়, গত কয়েক দশকে এই আক্কাস আলী কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছেন অন্তত ৮ শিশু-কিশোর। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত  তিনজন পুলিশে অভিযোগ করেছেন। অন্যেরা সামাজিক লজ্জার কারণে কোন অভিযোগ করেননি।

বিক্ষোভকারীরা আশা করছেন, এলাকার সকল মানুষ যদি নিজের মা-বোন-খালা-ভাগ্নি-ভাতিজির সম্ভ্রমের প্রতি দায়বদ্ধ হয়ে পশুর মত আচরণে লিপ্ত ওই আক্কাস আলীদের বিরুদ্ধে সরব হন, তাহলে অন্যরাও সামনে আসবেন নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ওই পাশবিকতার ঘটনা পুলিশে জানাতে।

সে প্রত্যাশা নিয়েই ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত আক্কাস আলীর বাড়ির সামনে এ কর্মসূচি করা হলো। এটি শেষ নয়, ন্যায়-বিচার নিয়ে সকলের মধ্যে সৃষ্ট শংকা দূর না হওয়া পর্যন্ত আবারও বিক্ষোভ করা হবে বলে জানান ‘জাগো হাডসন’র প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম জেরিন আহমেদ।

গত বছরের নভেম্বরে লাগাতার কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে আক্কাস আলীকে সর্বপ্রথম গ্রেপ্তার করা হয় এবং তৃতীয় বারের মতো গ্রেপ্তার হন এ বছরের মার্চে করোনা মহামারির প্রাক্কালে। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

কলম্বিয়া কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি জানান, জুরিবোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ধর্ষণসহ নির্যাতন ও শিশুর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে তাকে সর্বোচ্চ ২৫ বছর জেলে থাকতে হবে।

ধর্ষণকারীর প্রতি ঘৃণা ও ধিক্কার জানিয়ে লেখা প্লেকার্ড হাতে জড়ো হওয়া নানা শ্রেণী আর বয়েসী লোকজনের সাথে হাডসন সিটির মেয়র কামাল জনসনসহ সিটির সুপারভাইজার লিন্ডা মৌউসম্যান, মাইকেল ছামিদাস, সিটির কর্মকর্তা টিফানি গ্যারিগস, কুইন্টন ক্রস ছিলেন। সকলেই মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সরব ছিলেন। বাংলাদেশি এ্যাল্ডারমেনরা উপস্থিত না হওয়ায় আয়োজকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

পুলিশের ডিটেক্টিভের পক্ষ থেকে আরও ভিকটিম থাকলে তাদেরকেও নির্ভয়ে ৫১৮-৮২৮-৩৩৮৮ নম্বরে ফোন করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ওয়াই এ/এডিবি