ন্যাভিগেশন মেনু

নিজেরা ব্যর্থ হয়ে বিদেশি শক্তিকে কাজে লাগাতে চায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা দেশে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বে একটি মহল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। নিজেরা ব্যর্থ হয়ে বিদেশি শক্তিকে কাজে লাগাতে চায়। এজন্য তারা ষড়যন্ত্র করছে।

সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সামনের জাতীয় নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে মেরুকরণ হচ্ছে। পরস্পরবিরোধী মতের প্রদর্শন হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্বাচন ব্যবস্থা অনেক কর্তৃত্বপূর্ণ ও স্বাধীন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজকে এই বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বে যারা রয়েছে তারা জানে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলে তাদের হেরে যাওয়ার ভয় আছে।

তিনি বলেন, দেশে দেশে সুনামের সঙ্গে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত দেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর এ কাজে তারা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালকে (টিআইবি) ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, বিএনপি বোঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই অবস্থায় নির্বাচন হলে তারা জয়লাভ করতে পারবে না। কাজেই এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ, বাধাগ্রস্থ করাই তাদের এখন কাজ। এজন্য তারা প্রথমে বিদেশিদের কাছে নালিশে গেছে। এখন লবিস্ট নিয়োগ করেছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশে। সর্বশেষ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এর অপপ্রচারের সাথে তাদের অপপ্রচার একাকার হয়ে গেছে।

আগামী নির্বাচন খুবই চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, লড়াই করতে হবে অশান্তির বিরুদ্ধে যাতে কেউ নির্বাচনে বাধা দিতে না পারে। অতীতের সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি যেন নির্বাচনি পরিবেশকে বিঘিœত করতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমারা মাঠে থাকব। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংকট থেকে উত্তরনের একমাত্র উপায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে নিশ্চয়তা দিয়েছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। বিএনপির ব্যাপারটা হলো তারা না জিতলে এই নির্বাচন কোনদিন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না।

ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত মাসব্যাপী সকল কর্মসূচি উদযাপন করা হবে সাদামাটা, স্বতঃস্ফূর্ত ও বহুমাত্রিকভাবে।

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।