ন্যাভিগেশন মেনু

নিধন-অপসারণ অমানবিক, কুকুরের জন্য প্রয়োজন বিকল্প পরিকল্পনা


পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কুকুরসহ অনেক প্রাণীর অবদান রয়েছে। আদিকাল থেকেই কুকুর মানুষের খুব কাছের একটি প্রাণী। পোষা প্রাণী হিসেবে কুকুর বেশ বিশ্বস্ত এবং প্রভুভক্ত। প্রভুভক্ত এই প্রাণীটির ওপর দিন দিন সহিংসতা বেড়ে চলেছে। কোথাও কোথাও চলে অতিমাত্রায় বর্বরতা।

সম্প্রতি রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কুকুর নিধন-অপসারণে এগোচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় ঘুমের ওষুধ দিয়ে অন্তত ১০০ কুকুরকে স্থানান্তর করেছে। অন্যদিকে এভাবে কুকুর অপসারণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান ও প্রাণি অধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংগঠন। 

তারা বলছেন, এই ধরনের অপসারণ অমানবিক সিদ্ধান্ত।

পরিবেশবিদ তথা আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯ অনুযায়ি কুকুর নিধন-অপসারণ দণ্ডনীয় অপরাধ। যথাযথ উপায়ে রাস্তার কুকুরকে টিকা ও বন্ধ্যত্বকরণ নিশ্চিত করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন থেকে কুকুর নিধন কিংবা অপসারণের ঘটনা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়।

২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জলাতঙ্ক তথা কুকুর উন্নয়নে ৩৩ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ অর্থের যথাযথ ব্যবহার হলে কুকুরের সংখ্যা ও জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতো। সর্বোপরি কুকুরের জন্য আমাদের মানবিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে বলেন আইন বিশেষজ্ঞরা ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক প্রফেসর ডা. বেনজির আহমেদ জানান, দেশে প্রায় ১৭ লাখের মতো কুকুর রয়েছে। যার মধ্যে বর্তমানে রাজধানীর দুই সিটিতে ৫৫ হাজারের মতো কুকুর রয়েছে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়রের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। জলাতঙ্ক রোধে টিকা নিশ্চিতকরণসহ সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বন্ধ্যত্বকরণ নিশ্চিত করাই হবে সংশ্লিষ্টদের সঠিক দায়িত্ব।

অপসারণ নয় পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজধানীতে কুকুর রাখার বিষয়ে সমর্থন রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের। 

এ প্রসঙ্গে উত্তর সিটির ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হক জানান, উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ২০ হাজারের উপরে কুকুর রয়েছে। আমরা এসব কুকুরকে রাজধানীতে রেখেই যথাযথ সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিচ্ছি। মেয়র কুকুরকে খাবার দিচ্ছেন। নগরবাসীর যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সে বিষয়টি সামনে রেখে সব কুকুরকে টিকার আওতায় আনা হবে। এদের বন্ধ্যত্বকরণ নিশ্চিত করা হবে।

সিবি/এডিবি