ন্যাভিগেশন মেনু

নির্বাচনের জন্য কারও সহযোগিতা দরকার নেই: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী


বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কারও সহযোগিতা দরকার নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের প্রথম প্রকাশনা সাময়িকী ‘বিএসআরএফ বার্তা’ উদ্বোধনকালে ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতিসংঘের সহায়তা প্রয়োজন আছে কি না’, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।

দেশের নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও স্বাধীন বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কারও সহযোগিতা দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনেক নির্বাচন করেছে।’

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য বিএনপির ডাকের বিষয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ গত সাড়ে ১২ বছর ধরে এই দাবি করে আসছেন এবং জনগণকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন, কিন্তু জনগণ তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি এবং সাড়া দেওয়ার কোনও কারণও নেই। বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। বিএনপিকে বলবো, এ ধরনের  ফাঁকাবুলি আউড়িয়ে লাভ হবে না।’

‘সরকার ভয়ে খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দিচ্ছে না’ বিএনপি মহাসচিবের এই মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির বরং সরকারকে বহু আগে ধন্যবাদ দেওয়া প্রয়োজন ছিল। বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া জামিনে মুক্তি পাননি কিংবা আদালত কর্তৃক খালাসও পাননি। প্রধানমন্ত্রী আইনপ্রদত্ত ক্ষমতাবলে তার সাজা স্থগিত করেছেন। সেই কারণে তিনি কারাগারের বাইরে আছেন। এই জন্য বিএনপির শুকরিয়া আদায় করা প্রয়োজন, সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। সরকার যেকোনও সময় চাইলে ৬ মাসের সাজা স্থগিতাদেশ বাতিল করতে পারে। সে আদেশ যদি আগামীকাল বাতিল হয় তাহলে তখনই বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত যেতে হবে। এটিও বিএনপির মনে রাখা প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনেকরি।’

সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব তলব প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার যে কারও ব্যাংক হিসাব তলব করতে পারে। এমপি, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাদেরও ব্যাংক হিসাব তলব হয়। তবে কেউ স্বচ্ছ থাকলে এখানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। কারণ এই ব্যাংক হিসাব থেকে যখন তাদের স্বচ্ছতা বেরিয়ে আসবে, তখন মানুষের সামনে তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তবে এটি কেন সংগঠনের নাম দিয়ে চাওয়া হলো এবং কেন এটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলো, সেটিই প্রশ্ন -সে প্রশ্ন অনেকেই রেখেছে।’

বিটিআরসি থেকে আইপি টিভির ডোমেইন বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু তারা ডোমেইন বরাদ্দ পায় বিটিআরসি থেকে। ডোমেইন বরাদ্দ দেওয়ার আগে এখন থেকে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর আমরা টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসির সাথে ত্রিপক্ষীয় একটি বৈঠক করবো।’

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বিএসআরএফ বার্তা প্রকাশ করায় সংগঠনটিকে অভিনন্দন জানান এবং সাময়িকীটি নিয়মিত প্রকাশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এডিবি/