ন্যাভিগেশন মেনু

নির্বাচন পর্যন্ত ছাড়াছাড়ি নেই, আমরা মাঠে আছি: কাদের


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা উত্তেজনায় যাব না। আমরা নির্বাচন চাই। তারা যে করেই হোক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি থাকবে, তবে ধরন পাল্টাবে। নির্বাচন পর্যন্ত ছাড়াছাড়ি নেই। আমরা মাঠে আছি।

সোমবার (৩১ জুলাই) সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি৷

সমাবেশের পরদিন ঢাকার প্রবেশ পথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সমাবেশের পরের দিন তারা কেন অবরোধ কর্মসূচির দিল? এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র? এটা তো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা। তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে৷

তিনি আরও বলেন, ভিসানীতি তো তাদের ওপর প্রয়োগ করা উচিৎ। তাদের উদ্দেশ্য একটা লাশ ফেলা। লন্ডন থেকে তারেক রহমান সেই নির্দেশই দিয়েছেন।

রাজনীতির চিত্র এখন সহিংসতার দিকে যাচ্ছে, এ দায় বিরোধী দলের নাকি সরকারের? এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, বিশেষ বিশেষ কারণে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি ও দলের ওপর দায় বর্তায়। এটি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করলে অনেক কথাই আসে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকানদের উদ্দেশে আমি একটি কথাই বলব- আমরা সমাবেশ করলাম বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে, তারা করল নয়াপল্টনে। ঠিক পরের দিন তারা ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। এটা কি ধরনের কর্মসূচি? আমরা তো কখনও এ ধরনের কর্মসূচি দেইনি।

তিনি বলেন, বিএনপি দেশের প্রধান প্রধান মহাসড়কগুলো বন্ধ করবে, ঢাকা-চট্টগ্রাম যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে, ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে, এমন তো হতে পারে না। এটা কোন রাজনীতি? এটা কোন গণতন্ত্র? নির্বাচন সামনে রেখে যারা এমন কর্মসূচি নেন তাদের ওপরই ভিসানীতি কার্যকর করা উচিৎ। এটি পরিষ্কারভাবে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা।

তিনি বলেন, পুলিশের ওপর যে হামলা হয়েছে, পুলিশ তো বাধা দেবেই। তারা যখন ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক বন্ধ করে দিল, তখন পুলিশ চুপ করে থাকবে? জনগণের জানমাল রক্ষা করা ও যানচলাচল স্বাভাবিক রাখা এটি পুলিশের দায়িত্ব।

রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সরকারের অবস্থান কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার সরকারের পথেই আছে। সরকারের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখা।