ন্যাভিগেশন মেনু

নিষিদ্ধ হওয়ার পর আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন আশরাফুল


মোহাম্মদ আশরাফুলকে বলা হয় দেশের ক্রিকেটের প্রথম পোস্টার বয়। সম্মান, ভালোবাসা, খ্যাতি কোনোকিছুরই কমতি ছিল না তার। কিন্তু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফিক্সিং কেলেংকারির পর সব উবে যায় নিমিষেই। দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন আশরাফুল। এ সময়টা মাঝে মাঝে এতটাই দুর্বিষহ মনে হতো যে এক পর্যায়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন তিনি। 

৭ বছর পর সেই কঠিন সময়ের কথাই জানিয়েছেন আশরাফুল। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাতে নোমান নট আউট ইউটিউবে আশরাফুল সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাই শুনিেয়েছেন।  

বুধবার (১৩ মে) একজন ফোন করে জানতে চেয়েছিল, ‘করোনা ভাইরাসের মধ্যে আমরা সবাই তো ঘরে বন্দি। আপনার কেমন কাটছে ? আমি তাকে বলেছি, আমার জন্য অতোটা কঠিন মনে হচ্ছে না। কারন,এর চেয়েও কঠিন অবস্থা কাটিয়েছি আমি। একটা সময়ে মাথার মধ্যে এসেছিল,আমি বেঁচে থাকব কি না,আত্মহত্যা করব কি না। কিভাবে মানুষের কাছে মুখ দেখাব। ফ্যামিলি কি করবে ? এ ধরনের আপসেট ছিলাম। প্রথম ৬টা মাস রুটিন ছিল ৩টা ৪ টা পর্যন্ত টিভি দেখতাম। তারপর ঘুমাতাম, ঘুম থেকে ২টায় উঠতাম।’ 

এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে যাদের কথায় মানসিক সাপোর্ট পেয়েছেন, তা জানিয়েছেন আশরাফুল-২০১৩ সালে হজ করার পর দুলাভাই বললেন, তোমার একটা বাজে সময় যাচ্ছে। ধৈর্য ধর। সময়ের কাছে সব কিছু ছেড়ে দাও। ওই সময় বিসিবি’র সিইও সুজন ভাই-এর কাছ থেকেও অনেক হেল্প পেয়েছি।

প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকাকালে ক্রিকেট ছেড়ে দেননি, ‘নিজেকে আলোচনায় রাখতে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছেন বলে জানিয়েছেন আশরাফুল- 'ওই সময় প্রাইভেট গেম খেলার অনুমতি ছিল। আমি ২ বছর আমেরিকায় ক্রিকেট খেলেছি। এক বছর নিউইয়র্ক,পরের বছর নিউজার্সিতে। সিলেটে তিন বছর প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি। টেপ টেনিস খেলতেও চলে গেছি। অনেকে বলেছে,আশরাফুল কি পাগল হয়ে গেল নাকি। অন্ততঃ মানুষ যেনো আমাকে ভুলে না যায় সে চেস্টা করেছি। টেপ টেনিস খেলা দেখতে ৭-৮ হাজার দর্শক যেতো। মানুষের ভালবাসা দেখে বললাম, ট্রাই করে দেখি।’

ওআ