ন্যাভিগেশন মেনু

নিয়ম মেনে চললে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানো সম্ভব


বিশ্বজুড়ে মারনঘাতি হয়ে এসেছে কোভিড-১৯। আর তাই করোনা রুখতে ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে খুব আলোচনা চলছে। 

আমেরিকায় প্রায় ৭০ লাখ মানুষকে জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন দেওয়ার পর ছয়জনের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনায় এই ভ্যাকসিন দেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। 

এ রকম সাময়িক বন্ধ রাখা স্বাভাবিক একটি বিষয়। মধ্যবর্তী এই সময়ে দেখা হবে ভ্যাকসিন দেওয়ার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার সত্যিকারেই কোনো সম্পর্ক আছে কি না। 

এ ছাড়া মধ্যবর্তী এই সময়ে চিকিৎসকদের জানানো হবে, এই ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অন্য কোনো ব্যক্তির মধ্যে পরিলক্ষিত হলে কিভাবে তার চিকিৎসা দিতে হবে। 

ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই এফডিএ সাময়িক বন্ধ রাখার প্রক্রিয়াটি তুলে নিয়ে ভ্যাকসিনটি আবার প্রয়োগের ব্যবস্থা নেবে। সবচেয়ে বড় কথা, কেউ যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হন, তাহলে তাঁর রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা এমনিতেই অনেক গুণ বেশি। 

ভ্যাকসিন দিয়ে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা একেবারে নেই বললেই চলে। প্রায় ৮৫ শতাংশ লোকের চিকিৎসায় সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বহুল ব্যবহৃত ওষুধ যেমন—প্যারাসিটামল, অ্যান্টাসিড শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত নয়। সেভাবে ভ্যাকসিনেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছুটা থাকবে, তা স্বাভাবিক ও গ্রহণযোগ্য। করোনায় সারা বিশ্বে প্রতিদিন ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। সেই অনুপাতে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তেমন নেই।

করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে জিততে টিকা নিতে হবে—এটাই মত বিশেষজ্ঞদের। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও চলছে টিকা কার্যক্রম। কিন্তু করোনার টিকা নেওয়ার পর অনেকেরই নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে। কারো শরীর ব্যথা করছে, কারো জ্বর আসছে, কারো বা শরীর খুব দুর্বল লাগছে; যদিও এসব সাময়িক সমস্যা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু নিয়ম মেনে চললে টিকার এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাব কমানো সম্ভব। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললেই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পরিমাণ কমানো যেতে পারে। 

টিকা নেওয়ার আগে থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। টিকা নেওয়ার পরও সেই অভ্যাস বহাল রাখুন। শসা বা তরমুজের মতো ফল খেতে পারলে ভালো, যাতে প্রচুর পানি থাকে।

টিকা নেওয়ার আগে থেকেই ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করুন। নেশার প্রভাবে শরীর শুকিয়ে যায়। ফলে টিকা নেওয়ার পর শরীর খারাপ লাগতে পারে।

যেসব খাবারে ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ বেশি, সেসব খাবার বেশি খান। বাইরের ভাজাভুজি এই সময় এড়িয়ে চলাই ভালো।

যেসব খাবারে চর্বি বা চিনির পরিমাণ বেশি, সেসব খাবার এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ঠাণ্ডা পানীয় বা প্যাকেটের খাবার যত কম খাবেন, ততই ভালো। এর বদলে ফল খান বেশি করে।

টিকা নিতে যাওয়ার সময় খালি পেটে যাবেন না। পেট ভরে খাবার খেয়ে যান। এর সঙ্গে প্রচুর পানি পান করুন।

টিকা নেওয়ার পর রাত জাগবেন না। বরং সঠিক পরিমাণে ঘুমানো জরুরি। বিশেষ করে রাত ৩টা পর্যন্ত ঘুমানোটা জরুরি। এতে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো কাজ করে। 

দেহ সঠিকভাবে মেরামত হয়। এসব নিয়ম মানলে আশা করা যায় টিকা নিলেও পার্শপ্রতিক্রিয়া হবে না। এর পরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এস এস