ন্যাভিগেশন মেনু

নীরব ঘাতক কিডনি রোগ


কিডনি রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়। এর অন্যতম কারণ হলো কিডনি আক্রান্ত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পর অনেকে তা টের পান। 

ডায়াবেটিস ও  উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি রোগের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

কিডনি সুস্থ রাখার নিয়ম:

  • অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বাতের ব্যথার বড়ি খাবেন না।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না।
  • ডায়রিয়া বা বমি হলে যথাযথভাবে চিকিৎসকের পরামর্শে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করতে হবে।
  • ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সব রোগীকে ৬ মাস পরপর কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে।
  •  যাঁদের মা-বাবা, ভাইবোনের কিডনি রোগ আছে, তাঁদের নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে।
  • শরীর ফুলে গেলে বা পায়ে পানি জমলে অবশ্যই কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে। পা ফোলা গুরুতর কিডনি রোগের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে।
  • বারবার মূত্রনালির সংক্রমণে কিডনির স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। তাই এটি প্রতিরোধে সচেতন হবেন। স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতা মেনে চলবেন।
  • প্রস্রাবের সময় কোনো বাধা অনুভব করলে বা প্রস্রাব থেমে থেমে হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসা করাতে হবে। বিষয়টি শিশুদের জন্যও প্রযোজ্য।
  • কিডনিতে পাথর বা টিউমার হলে অস্ত্রোপচার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করতে হবে। কারও কারও কিডনিতে বারবার পাথর হয়। 
  • কাজেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাথর অপসারণ করলেও বছরে একবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা উচিত। সঙ্গে কিডনির কার্যকারিতা বুঝতে রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষাও করাতে হবে। 
  • পুরুষদের প্রস্টেট সমস্যা থেকেও কিডনির ক্ষতি হতে পারে। তাই নিয়মিত চেকআপে থাকুন।
  • প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে বা প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে অবশ্যই কিডনি বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে।
  • কামরাঙা বা বিলিম্বি খেলে কারও কারও কিডনি বিকল হয়ে পড়তে পারে। কাজেই এ ফল দুটি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
  • প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ বা প্রোটিন এবং রক্তকণিকা নির্গত হলে কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। 

এস এস