ন্যাভিগেশন মেনু

নোয়াখালীর ২ পৌরসভা ও ৯১ ইউনিয়নে গণটিকাদান কার্যক্রম


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে নোয়াখালী ও চৌমুহনী পৌরসভা এবং ৯১টি ইউনিয়নে একযোগে গণটিকাদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ভিত্তিতে টিকার প্রথম ডোজ নিচ্ছেন আগ্রহীরা।

এ ছাড়াও যাদের একান্ত জরুরি তারা জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়েও টিকা গ্রহণ করছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া টিকা কার্যক্রম চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, নোয়াখালী ও চৌমুহনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের ১৮টি বুথ এবং ৯১টি ইউনিয়নের ২৭৩টিসহ মোট ২৯১টি বুথে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। দিনব্যাপী চলা এ কার্যক্রমে মোট ১ লাখ ৪১ হাজার ব্যক্তিতে সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সকাল থেকে কয়েকটি টিকা কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ব্যপক ভিড় রয়েছে। ৯টা থেকে টিকা প্রদান শুরু হলেও সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কেন্দ্রে আসতে শুরু করে লোকজন। প্রতিটি কেন্দ্রে পুরুষদের তুলনায় টিকা নিতে নারীদের আগ্রহ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। সবকিছু উপেক্ষা করে টিকা গ্রহণ করতে পারায় খুঁশি তারা।

সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়ন পরিষদে টিকা দিতে আসা মনির নামের একজন জানান, গত একমাস আগে তিনি এবং তার স্ত্রী টিকার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে নিজের পরিষদের সুযোগ পেয়ে দু’জনই টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

জান্নাতুল ফেরদাউস নামের একজন জানান, গত রবিবার বাজারের একটি দোকান থেকে অনলাইনে নিবন্ধন করেন তিনি। মাত্র দুইদিনে দ্রুত সময়ে টিকা গ্রহণ করতে পেরে খুঁশি তিনি।

সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়নগুলোর ১নং ওয়ার্ডে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। প্রথম ধাপে নোয়াখালী ও চৌমুহনী পৌরসভার ৯টি করে ১৮টি বুথে ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ১নং ওয়ার্ডে ২৭৩টি বুথে টিকা দেওয়া হয়। জেলায় ১৮২ জন স্বাস্থ্যকর্মী মোট ৯৯টি কেন্দ্রের বুথগুলোতে কাজ করেছে। ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে ৩টি করে বুথ রয়েছে। একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও একজন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী ছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে কাজ করছে স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। দুটি পৌরসভা ও ৯১টি ইউনিয়ন থেকে মোট ১লাখ ৪১ হাজার লোককে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা কাজ করেছি।

ডিএ/সিবি/এডিবি/