সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সদ্য সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম সেলিমকে আহ্বায়ক এবং শিহাব উদ্দিন শাহীন ও সহিদ উল্লাহ খান সোহেলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৮৭ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন একরামুল করিম চৌধুরী, মোরশেদ আলম এমপি, বেগম ফরিদা খানম এমপি, এইচ এম ইব্রাহীম এমপি, মামুনুর রশীদ কিরণ এমপি, আয়েশা আলী এমপি, গোলাম মহিউদ্দিন লাতু, ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহ, আব্দুর রহমান মঞ্জু, মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, মো. আলী (সাবেক এমপি), মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তবে জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে স্থান পায়নি নোয়াখালীর রাজনীতিতে ব্যপক আলোচনার জন্ম দেয়া বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জা। দীর্ঘদিন থেকে কাদের মির্জা নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর অপসারণ দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু সর্বশেষ সেই কাদের মির্জাকে রাখা হয়নি জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে। ঘোষিত আহবায়ক কমিটিতে কোম্পানীগঞ্জের জন্য চারটি পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগের নবগঠিত কমিটি নিয়ে ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা মন্তব্য করেন, এটা হচ্ছে কমিটি নয়, বানরের পিঠা ভাগ। নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির গুনগত পরিবর্তন হয়নি এ কমিটির মাধ্যমে। এ কমিটি হচ্ছে অপরাজনীতির আরো একটা চমক। আমরা এ কমিটির পক্ষেও নেই বিরুদ্ধেও নেই।
ঘোষিত কমিটিতে সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে এক নম্বর সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে কমিটিতে রয়েছেন জেলার আওয়ামী লীগের দলীয় সকল সংসদ সদস্য। একরামের বড়ভাই হাজী ইব্রাহিম মিয়া ও ভাগিনা জহিরুল হক রায়হানকেও কমিটিতে রাখা হয়েছে।
কমিটিতে রাখা হয়েছে একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী ও কবিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বেগম কামরুন্নাহার শিউলীকে। একইসঙ্গে হাতিয়ার সাংসদ আয়েশা আলীর সঙ্গে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তার স্বামী ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীও।
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষিত আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল নতুন আহবায়ক কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশ রূপান্তরকে বলেন, দলের কেন্দ্রীয় যে কোনো সিদ্ধান্তের প্রতি আমার আস্থা আছে। আমাদের নেত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চুড়ান্ত।
তিনি বলেন, এবার আমাদের দায়িত্ব হলো উপজেলা কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য জেলা কমিটি উপহার দেয়া।
ডিআএম/ ওআ