২০০২ সালের জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপে আফ্রিকার দেশ সেনেগাল ছিল নবাগত। ১৮ বছর আগের সেই বিশ্বকাপের স্মৃতি এখনও ভাসমান, সে সময় সেনেগাল ছিল একটা বিস্ময়ের নাম।
সেই ম্যাচে যে ফুটবলারের একমাত্র গোলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল, সেই পাপা বৌবা দিওপ চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
দীর্ঘ অসুস্থতার পর ৪২ বছর বয়সে গত রবিবার জীবনের লড়াইয়ে হার মানলেন সাবেক ফুলহ্যাম মিডফিল্ডার।
২০০২ সালের সেই বিশ্বকাফে প্রথম ম্যাচেই দেশটি চমকে দিয়েছিল বিশ্বকে। হারিয়ে দিয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে। সেই ম্যাচে যে ফুটবলারের একমাত্র গোলে সেনেগালের কাছে হেরে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল থিয়েরি অঁরি-ফ্যাবিয়ান বার্থেজদের, সে হলো পাপা বৌবা দিওপ।
কেবল ফ্রান্সের বিরুদ্ধেই নয়, ২০০২ বিশ্বকাপে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ৩-৩ অমিমাংসিত ম্যাচে দিওপের পা থেকে এসেছিল জোড়া গোল। সবমিলিয়ে ওই বিশ্বকাপে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিকে আবির্ভাবেই কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কান্ডারি ছিলেন এই পাপা বৌবা দিওপ।
ক্লাব ফুটবলের ক্যারিয়ারে ফুলহ্যাম ছাড়াও ওয়েস্টহ্যাম, বার্মিংহ্যাম সিটির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়র লিগে ১২৯ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সেনেগালের এই কিংবদন্তি ফুটবলার।
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা দিওপের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে লিখেছে, ‘একসময়ের বিশ্বকাপ হিরো আজীবন বিশ্বকাপ হিরো হয়েই থেকে যাবেন।’
দিওপের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে তার সাবেক ক্লাব ফুলহ্যাম লিখেছে, ‘আমরা বিধ্বস্ত। শান্তিতে বিশ্রাম নাও ওয়্যার্ড্রোব।’ উল্লেখ্য, এই নামেই ফুলহ্যামে পরিচিত ছিলেন দিওপ।
২০০২ আফ্রিকান নেশনস কাপে দেশকে রানার্সআপ করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন দিওপ। ২০০৮ সালে সেনেগালের সাবেক এই ফুটবলার ছিলেন হ্যারি রেডন্যাপের প্রশিক্ষণাধীন পোর্টসমাউথ ক্লাবের উল্লেখযোগ্য এক সদস্য, যারা এফএ কাপ জিতেছিল ওই বছর।
সিবি/এডিবি