পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের মুহুরীজোত ও সাহেবীজোত এলাকায় বাঘের হামলার ঘটনার পর স্থানীয়দের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সেই দুই বাচ্চাসহ একটি চিতাবাঘ ধরতে তৎপর হয়ে হঠেছে প্রশাসন ও বন বিভাগ। ইতোমধ্যে শিকার করতে প্রস্তুত করা হয়েছে খাঁচা।
আর অন্যদিকে প্রায় চার একর জমির উপর গড়ে ওঠা জঙ্গলাকীর্ণ পরিত্যক্ত সেই চা বাগান স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিষ্কার করছে প্রশাসন।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে মুহুরীজোত গ্রামের সেই জঙ্গলাকীর্ণ পরিত্যক্ত চা বাগানের আশপাশ ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফ হোসেন ও তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা, সদর ও তেঁতুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাছ আহমেদ ও মো. জহুরুল ইসলামসহ বন বিভাগের লোকজন এসে ওই চা বাগান ও জঙ্গল কাটার নির্দেশনা দেন।
তিনি জানান, তাদের নির্দেশনা মোতাবেক আমার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. মিন্টু কামাল ১৯ জন শ্রমিক দিয়ে জঙ্গল পরিষ্কারের কাজে লাগিয়েছেন। চা বাগান ও জঙ্গলটি খুবই ঘন হওয়ায় কাটতে সময় লাগছে। কবে নাগাদ কাটা শেষ হবে এটা বলা কঠিন।
সাতমেরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. মিন্টু কামাল জানান, বাঘের আতঙ্কে আমার এলাকার লোকজন রাত জেগে পাহারা দিয়ে আসছেন। বাঘ ধরতে অভিযানের অংশ হিসেবে এই চা বাগান ও জঙ্গল কাটা শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রীর বড় ভাই রমজান আলীর সঙ্গে ওই চা বাগান নিয়ে ৭/৮ বছর ধরে আদালতে মামলা চলমান আছে। এ কারণে চা বাগান থেকে পাতা উত্তোলন না হওয়াসহ পরিচর্যা না করায় চা বাগানটি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। চা বাগানের দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে প্রশাসনের নির্দেশে এটি কাটা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
জানা যায়, ভারত থেকে আসা দুই বাচ্চাসহ একটি চিতাবাঘ গত একমাস থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের ওই চা বাগান ও জঙ্গলে অবস্থান করে বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীর ছাগল গরুকে আক্রমণ করে।
এলাকাবাসি জানান, তারা এলাকার মধ্যে বাঘের আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছেন। তাছাড়া বন বিভাগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও এখানে বাঘের অবস্থান আছে বলে জানিয়েছেন।
এডিবি/