ন্যাভিগেশন মেনু

পড়াশোনা করতে চাই- নরেন্দ্র মোদির কাছে আবদার ৯৮ বছরের বৃদ্ধার


৯৮ বছর বয়সেও পড়শোনা অদম্য ইচ্ছে কার্থিয়ানি আম্মার। সদ্য রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ‘নারী শক্তি পুরস্কার’ পেয়ে আপ্লুত।

তাঁকে হার মানাতে পারেনি বয়সের ভার। তাঁকে নিয়ে গিয়েছে সাফল্যের শিখরে। তাই তো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর, ”আরও পড়াশোনা করতে চাই” বলে নিজের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন কার্থিয়ানি আম্মা।

বয়সের সংখ্যার বিচারে তিনি প্রবীণ। জীবন সায়াহ্নে এসে যেখানে সব ইচ্ছে ত্য়াগের পথে হাঁটেন সকলে, সেখান থেকেই তিনি শুরু করেছেন নতুন পথ চলা। ইচ্ছাপূরণে বয়স যে কোনও বাধাই নয়, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন কেরলের কার্থিয়ানি আম্মা । এই বয়সে উপনীত হয়েও চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করেছেন তিনি।

৯৮ বছরের কার্থিয়ানি আম্মা রবিবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে ‘নারী শক্তি পুরস্কার  পেয়েছেন । আর এই পুরস্কার তাঁকে ভবিষ্যতের পথে আরও এগিয়ে চলার শক্তি জোগাবে বলেই দাবি করেছেন তিনি।

 পুরস্কার পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির   সঙ্গে আলাপচারিতার সময় আরও পড়াশুনো করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। আবদারের সুরে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানান,”আমি সম্প্রতি চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করেছি, এখন আমি আরও পড়াশোনা করতে চাই।

এখন সবেমাত্র কম্পিউটার শিখতে শুরু করেছি।” এরপরেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে প্রণাম জানান।  তাঁর পা ছুঁয়ে আশীর্বাদও নেন। কেরলের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধাকে দেখে পড়াশুনোয় উৎসাহ পেয়েছেন ১০৫ বছরের আরেক বৃদ্ধা ভাগীরথী আম্মাও। রাজ্য সাক্ষরতা অভিযানের অধীনে পড়াশুনো করে তিনিও চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

 এর আগে রাষ্ট্রপতি ভবন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র   আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ”নারী শক্তি পুরস্কার” তুলেদেন দেশের কৃতী নারীদের হাতে।

দেশের প্রথম নাগরিকের হাত থেকে এবার ওই সম্মান পান কার্থিয়ানি আম্মাও। গোটা দেশে নারীদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে যাঁরা অবদান রাখেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর ৮ মার্চ তাঁদের আলাদা করে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

 ব্যতিক্রমী কাজের স্বীকৃতি হিসাবে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক ”নারী শক্তি পুরস্কার” নামে এই জাতীয় পুরস্কার দেয় কৃতী মহিলাদের।

এস এস