ন্যাভিগেশন মেনু

পদ্মায় নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২, নিখোঁজ ১০


রাজশাহীর পদ্মায় বিয়েবাড়ির দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম মনি খাতুন (৪৫)।

শনিবার (৭ মার্চ) সকালে জেলার চারঘাট এলাকায় মনি খাতুনের বোরকা পরা মরদেহ নদীতে ভেসে ওঠে। নিহত মনি কনে সুইটি খাতুনের চাচি। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো দু'জনে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরও ১০ জন।

এর আগে শুক্রবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘটনার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলে। পরে মধ্যরাতে উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।

শনিবার সকাল থেকে মোট তিনটি ইউনিট আবার উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। এর মধ্যে রাজশাহীর চারঘাটের ইউসুফপুর সীমান্তে পদ্মা নদী থেকে বোরকা পরা অবস্থায় মনি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে বিজিবির টহল দল।

বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়া উদ্দিন মাহমুদ জানান, শুক্রবার রাত থেকেই বিজিবি সদস্যরা নিখোঁজদের উদ্ধারে ঘটনাস্থল থেকে শুরু করে রাজশাহী চারঘাট সীমান্ত পর্যন্ত স্পিডবোট নিয়ে টহল পরিচালনা করছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে তাদের প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।

পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় প্রায় ২৪ জন নিখোঁজ ছিল। তবে রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বেঁচে ফিরেছে আরও ১৪ জন। তাই এখন প্রায় ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

ঘটনার পর উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ছয়জন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়া ঘটনার পর উদ্ধারকৃতদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত শিশুর মরদেহ এখন তার মহানগরীর বসুয়ার নিজ বাসায় নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল নৌকার মাঝি খাদিমুল ইসলাম (২৩), রতন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (২২), সুমন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২) এবং মেয়ে সুমনা আক্তারকে (৬)। আর রতন ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন জীবিত উদ্ধার হলেও তাদের ছয় বছরের মেয়ে মরিয়ম খাতুনকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আর মেয়েকে নিয়ে নদীতে সাঁতরে উঠেছিলেন সুমন-নাসরিন দম্পতি।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের উপ-পরিচালক আবদুর রশীদ জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। রাজশাহী, রংপুর ও বিআইডব্লিউটির তিনটি ইউনিট যৌথভাবে পদ্মায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। এরমধ্যে রাজশাহী ও রংপুর ফায়ার সার্ভিস এবং বিআইডব্লিউটির পাঁচ সদস্যের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে।

এর আগে পদ্মানদীতে বিয়ে বাড়ির দু’টি নৌকা ডুবে যায়। দুই নৌকায় প্রায় ৩৮ জন যাত্রী ছিল।

ওআ /এডিবি