ন্যাভিগেশন মেনু

পরকীয়া সন্দেহে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ইলেকট্রিক শক দিয়ে খুন


স্বামীর সঙ্গে অন্য এক মহিলার পরকীয়া রয়েছে, এই সন্দেহে তাকে খুন করলেন অধ্যাপক স্ত্রী। খুনের দায়ে ওই অধ্যাপককে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় অন্যকেউ জড়িত কি-না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুরে।

ছত্তরপুরের পুলিশ সুপার সচিন শর্মা জানিয়েছেন, প্রথমে বেশি পরিমাণে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ও পরে বিদ্যুতের শক দিয়ে খুন করা হয়েছে।

তিনি জানান, গত ১ মে ৬৩ বছরের নীরজ পাঠককে মৃত অবস্থায় বাড়িতেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। নীরজের স্ত্রী মমতা পাঠক পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তিনি ছেলেকে নিয়ে ঝাঁসি গিয়েছিলেন। ১ মে ফিরে এসে তার স্বামীকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। কিন্তু পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, গত ২৮ এপ্রিল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিও প্রকাশিত হয়, যেখানে জানা যায়, নীরজকে তার স্ত্রী ও ছেলে মিলে নানাভাবে হেনস্থা করছে। এই অডিও প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ।

এরপরই নীরজের স্ত্রীকে পুলিশ জেরা করলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। জেরায় মমতা জানায়, তিনি নিজেই নীরজকে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ দিয়ে খুন করেছে।

পুলিশ সুপার জানান, মমতা জানিয়েছেন, তার সন্দেহ ছিল যে, অন্য কারো সঙ্গে নীরজের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সেই সন্দেহ থেকেই মমতা পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছিল। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে কিছু পায়নি।

এরপরই পুলিশ সুপার জানান, মমতা যেহেতু রসায়নের অধ্যাপক, তাই তিনি জানতেন, ঘুমের ওষুধ বা বিষ দিয়ে যদি কাউকে মারা হয়, তাহলে দু'দিন কেটে গেলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ার বিষয়টি ধরা পড়বে না। সেই কারণে তিনি একটি পরিকল্পনা করেছিলেন। ২৯ এপ্রিল নীরজকে ঘুমের ওষুধ দেন মমতা। এরপর ইলেকট্রিক শকে মারা গিয়েছেন এটা প্রমাণ করতে তাকে বাথরুমে রাখা হয়।

নীরজের মৃত্যুর পর মমতা তার ছেলেকে নিয়ে পরেরদিন সকালেই ঝাঁসি চলে যান।

পরিকল্পনা অনুযায়ি, দু'দিন পর মমতা ফিরে আসেন। তখন মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখানো হয়, ইলেকট্রিক শকেই নীরজের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এরইমধ্যে পুলিশের হাতে অডিও টেপটি চলে আসায় তদন্তের মোড়ই অন্যদিকে ঘুরে যায়। পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে, এই ঘটনার সঙ্গে তার ছেলে জড়িত আছে কিনা। সুত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

এডিবি/