ন্যাভিগেশন মেনু

পরীক্ষার টেনশনে হাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীরা


কোভিড-১৯ করোনা পরিস্থিতির কারণে অনলাইনে ক্লাশের অনুমতি থাকলেও পরীক্ষা হবে কবে তা কেউ বলতে পারছে না। আর এ নিয়ে টেনশনে পরেছেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী।

করোনা সংকটে গত বছর (২০২০ সাল) থেকে পরীক্ষা না হওয়ায় সেশনজটে পড়তে পারে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা।

হাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, দীর্ঘ এক বছর দুই মাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ। এ ছাড়াও ৪ মাস যাবত নেই স্থায়ী উপাচার্য। এ যেন হযবরল অবস্থা! এদিকে ২০১৬ সালের শিক্ষাবর্ষে স্নাতক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও ফলাফল এখনও ঘোষণা হয়নি।

বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বলেন, অনলাইনে সব কুইজ-মিড পরীক্ষাগুলো অ্যাসাইনমেন্ট আকারে শেষ করা হোক তারপর অনলাইন হোক বা অফলাইনে লেভেলভিত্তিক একটা করে সেমিস্টার ফাইনাল শেষ করা উচিত। অনলাইনে শুধু ক্লাস করেই যাচ্ছি, লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না।

শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা যখন ভর্তি হই তখন উপাচার্য নিয়োগে দেরি হওয়ায় আমরা এমনিতেই ৩ মাসের মতো পিছিয়ে ছিলাম। এখন আবার উপাচার্য নিয়োগে দেরি করা হচ্ছে। আমরা সেশন জটে পড়বো।

এদিকে হাবিপ্রবিতে বিদেশি শিক্ষার্থীরা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কমপক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরীক্ষাগুলো নিলে আশা করছি সে রকম সমস্যা সৃষ্টি হবে না। আমরা কেউ সেশন জটে পড়বো না। অনলাইনে ক্লাশ করতে আমরা বিরক্ত।

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, মহামারি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনেই সেমিস্টার ফাইনাল নেওয়া হতে পারে।

পরীক্ষা কবে নাগাদ হতে পারে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা সরকার বলতে পারবে। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। অনলাইনে পরীক্ষার ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত পরীক্ষার বিকল্প হিসেবে ভাইভা এবং ক্রিয়েটিভ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হতে পারে। ল্যাব কোর্সের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ল্যাব পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। পরীক্ষার নিয়মনীতি নিয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এস/এসএ/এডিবি/