ন্যাভিগেশন মেনু

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন: দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৮০.৪৩ শতাংশ


পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ৩০টি আসনে ১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিক্ষিপ্ত হিংসা হানাহানির মধ্যদিয়ে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট পড়েছে ৮০.৪৩ শতাংশ।

এর মধ্যে বাঁকুড়ায় ভোট পড়েছে ৮২.৭৮ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭৮.০৫ শতাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে ৮১.২৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৯.৬৬ শতাংশ।

দ্বিতীয় দফায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকলো নন্দীগ্রাম। এই আসনটিতে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারই একসময়কার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দল বদল করে এখন বিজেপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন মমতার বিরুদ্ধে।

এই আসনে জয় পরাজয় দুই প্রার্থীর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই নন্দীগ্রামেই ১৪ বছর কৃষি জমি অধিগ্রহণ করে শিল্প কারখানা তৈরির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পথ করে নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জী।

ভোটে নন্দীগ্রামের বয়াল মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ নম্বর বুথে সকাল থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে জালভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠে। তৃণমূলের অ্যাজেন্টকেও বসতে দেওয়া হয়নি দাবি করে তৃণমূল। মমতা সেখানে পৌঁছাতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির তৈরি হয়। মমতা যখন বুথের ভিতরে ঢুকে যান, তখন বাইরে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান তোলা হয়। রীতিমতো সম্মুখ-সমরে অবতীর্ণ হন তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে পুলিশ।নামানো হয় র‍্যাফ। কিছুক্ষণ পর পৌঁছায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। শেষপর্যন্ত প্রায় দু'ঘণ্টা পর মমতাকে বুথ থেকে বের করা হয়।

কেশপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রীতিশরঞ্জন কুয়ারের উপর হামলা চালানো হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার গুনাহারা এলাকায় তার গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। 

বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং খড়্গপুর সদরের বিজেপি প্রার্থী বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। বিজেপির দাবি, ভোটের দিন সকালে মন্দিরের বাইরে টাকা দিচ্ছিলেন সায়ন্তিকা। পরে একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘অনেকেই তো বলছেন, আমি ভৈরব স্থান মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে টাকা দিয়েছি। প্রণামীর বাক্সে ১০১ টাকা না দিয়ে মন্দিরের সামনে বসে থাকা গরিব মা-জ্যেঠিমাদের টাকা দিই, আশীর্বাদ নিই, চারটে ভোট পাই, তাতে আমি খুশি। বিজেপি তো টাকা দিয়ে খাইয়ে ভোটটা কেনাচ্ছে।’ 

অন্যদিকে, হিরণের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করা এবং বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে বিজেপির প্রতীক পরে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে।

কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। মূলত নন্দীগ্রাম থেকে সেই অভিযোগ বেশি উঠেছে।

এডিবি/