ন্যাভিগেশন মেনু

পশ্চিমবঙ্গে নারদ মামলায় জামিন পেলেন চার নেতা


ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নারদ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের চার নেতা। দুইলাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মে) তাদের কিছু শর্তসাপেক্ষে এই জামিনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।

মামলার শুনানির শুরুতেই হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ বিন্দল সিবিআই-এর আইনজীবী তুষার মেহতার কাছে জামিনের সিদ্ধান্তের সম্পর্কে জানাতে চান।

তিনি বলেন, ‘গতকাল বলেছিলাম জামিনের পুনর্বিবেচনার আর্জি শুনবো। এখন বিষয় হলো, আমরা বিশেষ আদালতে (অন্তর্বর্তীকালীন) জামিনের  দিয়েছিলাম। আমরা কয়েকটি শর্তের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের প্রস্তাব রাখছি। চূড়ান্ত রায়ে তা ঠিক হবে। আমরা আলোচনা করেছি। রাজ্যে দু'সপ্তাহের জন্য লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। আপনি (সলিসিটর জেনারেল) কী বলেন?’

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের বিরোধিতা করেন মেহতা জানান, চারজনই প্রভাবশালী এবং আবারও জনগণের মধ্যে ভাবাবেগ তৈরি করতে পারেন। আর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হলে পুরো মামলাটি ‘ঠান্ডাঘরে’ চলে যাবে।

এর জবাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘না, আমরা মূল মামলা শুনবো। এটা ঠান্ডাঘরে চলে যাবে না। আশ্বস্ত করছি।’

সেইসঙ্গে মেহতার ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব নিয়ে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, 'মিস্টার সলিসিটর জেনারেল, আমরা একটা পর্যবেক্ষণ শোনাতে চাই। ২০১৭ সালে তদন্ত শুরু হয়েছিল। তদন্তের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। সাধারণ তদন্তের কাজের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। তারা তো আগের মতোও প্রভাবশালী আছেন। এখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে কেন?' সঙ্গে জানতে চান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যখন তাঁদের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, তখন তাঁদের কেন গৃহবন্দি রাখা হবে?

সেই প্রশ্নের মুখে কিছুটা সুর নরম করে মেহতা জামিন একান্ত মঞ্জুর হলে দুটি শর্ত আরোপের আর্জি জানান। প্রথমত - তারা নারদকাণ্ড নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না, দ্বিতীয়ত - যদি তাদের তদন্তের জন্য বা আদালতে হাজির দিতে হয়, তাহলে তারা কোনও মানুষের জমায়েত করতে পারবেন না।

সিবিআইয়ের প্রথম শর্ত মেনে নেয় হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আরও দুটি শর্ত যোগ করে চার নেতার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে। দু'লাখ ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়। দুটি কিস্তিতে টাকা মেটাতে হবে। সঙ্গে যখনই তদন্তকারী অফিসার কথা বলতে চান, তাঁর সঙ্গে বলতে হবে। তা ভার্চুয়াল মাধ্যমে হতে পারে। সঙ্গে হাইকোর্ট জানায়, সংশ্লিষ্ট মামলা এবং নারদকাণ্ড সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে পারবেন না বলে মুচলেকা দিতে হবে চার নেতাকে।

এডিবি/