ন্যাভিগেশন মেনু

পাঁচ মাসে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তর সংখ্যা প্রায় কয়েক গুন


গত জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত  গেলো বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তর সংখ্যা প্রায় কয়েক গুন।

সোমবার (২৯ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য মতে সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২২৬ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই ১৯৮ জন। বাকি ২৮ জন ঢাকার বাইরে অন্য বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮ জন ঢাকার এবং ঢাকার বাইরে ১৪ জন।

বিগত পাঁচ মাসে সারা দেশে ১৭০৪ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে  হাসপাতালে আসেন। এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩ জন।

এদিকে সোমবার (২৯ মে) সচিবালয়ে করোনা টিকা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন। দেশে এবং আশপাশের দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ১ হাজার ৭০৪ জন ডেঙ্গুরোগী পেয়েছি। এসময়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা যদি গত বছরের তুলনা করি, এবছর রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচগুণ। অর্থাৎ অনেক রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে।

মন্ত্রী আরও জানান, হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য। সব বাহিনীসহ সেনাবাহিনীও ডেঙ্গু নিয়ে সতর্কতার জন্য কাজ করছে। ডাক্তার-নার্সদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে ডেঙ্গু সার্ভে, সেটি চলমান। রিপোর্ট দুই সিটি করপোরেশনকে দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গুরোগীদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড এবং আলাদা কর্নার তৈরি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা বিভিন্ন মহলকে যুক্ত করেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আছেন, ছাত্রছাত্রী আছেন, তাদের মাধ্যমে এটা প্রচার করা হচ্ছে। আপনাদের মাধ্যমে আমরা জনগণকে অবহিত করতে চাই যে, আপনারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিন। মানে বাসার আশপাশের আঙিনা পরিষ্কার রাখুন, নিজের ঘর স্প্রে করুন, আশপাশে যদি জঙ্গল থাকে সেখানে স্প্রে করুন এবং পানি বা যদি অন্যকিছু জমে থাকে সেগুলো সরিয়ে ফেলুন। এ কাজগুলো আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে এসে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেবেন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে প্রায় সবাই ভালো হয়ে যাচ্ছেন।