ন্যাভিগেশন মেনু

পাকিস্তানে ইমরান খানের ‘পুতুল সরকার’ পতনের বিক্ষোভ অব্যাহত


পাকিস্তানে ইমরান খানের দল ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় আসার অভিযোগে এই সরকারের পতনের জন্য বিক্ষোভ করছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। তারা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগের জন্য তার ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে জনসমাগমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রবিবার (২২ নভেম্বর) পেশাওয়ারে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা বিভাগ।

তবে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলছেন, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তার নির্বাচনে বিজয়ের সাথে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, রাজনীতির সাথে নিজেদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

গত ১৬ অক্টোবর থেকে পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) একের পর এক বিক্ষোভ আয়োজন করেছে। পিডিএম-এর সঙ্গে ডানপন্থী ধর্মীয় দল থেকে শুরু করে কিছুটা বামপন্থী চিন্তাধারার দল, এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্যরাও যোগ দিয়েছে।

ইতোমধ্যে দেশটির চারটি রাজ্যের তিনটিতেই - পাঞ্জাব, সিন্ধু ও বালোচিস্তানে বড় ধরণের র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার খাইবার পাখতুনওয়ালা রাজ্যে সরকার বিরোধী র‍্যালি হতে যাচ্ছে।

বিরোধী দলগুলো বলছে, তারা 'জনগণের প্রতিনিধিত্ব না করা' এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। সরকারের বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থার ওপর প্রভাব তৈরি করা এবং অর্থনীতির অব্যবস্থাপনার অভিযোগও তুলেছে তারা।

কর্তৃপক্ষের পথরোধ করা এবং কিছু গ্রেফতারের মত ঘটনা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত গুজরানওয়ালা, করাচি আর কোয়েটায় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইমরান খান দাবি করেছিলেন, নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির দলের 'ব্যাপক দুর্নীতি'তে বিরক্ত হয়ে সাধারণ মানুষ তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। কিন্তু স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৮ সালের নির্বাচন পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় নির্বাচন ছিল।

এডিবি/