ন্যাভিগেশন মেনু

পাবনায় পেঁয়াজের দাম কমেছে


কানু সান্যাল, পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনায় হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জেলার বিভিন্ন এলাকার হাটবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মন প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। 

গত দুইদিন আগে এসব হাটে পেঁয়াজের দাম ছিল গড়ে ৩ হাজার ৫০০ টাকা মণ । যা রবিবার  বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা  দরে। 

জেলার হাজির হাট, দুবলিয়া হাট, নাজিরগঞ্জ হাট, আতাইকুলা ও টেবুনিয়া হাটে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। 

কৃষি তথ্য অফিস পাবনার একটি সুত্র জানায়, দেশের চাহিদার এক চতুর্থাংশ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় পাবনা জেলার সুজানগর, সাথিঁয়া এবং বেড়া উপজেলায়। দেশে বাৎসরিক ২৪ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ প্রয়োজন হয়। চলতি মৌসুমে পাবনায় সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিকটন আবাদ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮০ মেট্রিকটন।

সুজানগরের দুর্গাপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী রেজাউল করিম জানান, স্বচ্ছল কৃষকের অধিকাংশ পেঁয়াজ চাতাল করে রাখে। এর মধ্যে কিছু পেঁয়াজ মুরকাটা (বীজ বানানোর জন্য) রাখা হয় অবশিষ্ট পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়। 

নাজিরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, গত হাটের চেয়ে রবিবারে পেঁয়াজের দাম ৫/৭ শত টাকা মণ প্রতি কম। গত হাটে পেয়াঁজের দাম ছিল ৩৩/৩৫ শ টাকা। মণ প্রতি ৫/৭ শত টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। 

পাবনা জেলা প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানায়, ‘ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে’ এমন খবর প্রচারিত হওয়ায় জেলার একটি চক্র পেঁয়াজ মজুদ করে। পরে কঠোর নজরদারীর কারনে দাম কমতে শুরু করেছে। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে আড়ৎদার, মজুদদার, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে। ফলে গত কয়েকদিনের চেয়ে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। 

এ ব্যাপারে পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, সরবরাহকারী নয়, বরং রাজধানীর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণেই পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানীর সংবাদে কিছু ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে দেয়। অনেক কৃষক এখন চাতাল করে পেঁয়াজ মজুদ রাখছে। জেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং করছে। পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে কারও কারসাজি থাকলে তা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এডিবি/