ন্যাভিগেশন মেনু

পাবনায় স্বাধীনতা চত্বর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী


পাবনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্মরণে স্বাধীনতা চত্বর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই স্বাধীনতা চত্বরের শুভ উদ্বোধন করেছেন।

স্বাধীনতা চত্বরের শুভ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে সরকারে আছে বলেই দেশের মানুষের উন্নতি হচ্ছে। আজকে দারিদ্র্যসীমা আমরা কমিয়ে আনতে পেরেছি। মাথাপিছু আয় আমরা বৃদ্ধি করেছি, মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করেছি। একেবারে গ্রাম পর্যন্ত যে মানুষের জীবন-মান উন্নত করা যায়, সেটাও আমরা প্রমাণ করেছি।’

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। বিশ্বব্যাপী আরেকটি নতুন ধাক্কা আসছে। এখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেক্ষেত্রে সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে এবং এর ফলে যেন মানুষ আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।

এ উপলক্ষে স্বাধীনতা চত্বর প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন - স্বাধীনতা চত্বর বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু।

এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা সাবেক দুদক কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চপ্পু, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স, সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু, জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাধারন সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি কানু সান্যাল, সাধারন সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা এবং জেলার সকল উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রসহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্মরণে নির্মিত স্বাধীনতা চত্বর হলো উত্তরবঙ্গ তথা দেশের মধ্যে অন্যতম স্বাধীনতা চত্বর। যেখানে প্রতিটি ইট পাথরের ডিজাউনে মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২টি উক্তিসহ ৭ মার্চের ভাষণ,  স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস বিদ্যমান।

স্বাধীনতা চত্বরের প্রধান মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৪৬ ফুট ও প্রস্ত ৪০ ফুট এবং উচ্চতা ২০ ফুট। যার দুই পাশে দুটি গ্রিনরুম এবং টয়লেটসহ ওয়াশরুম রয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট ও প্রস্ত ২৪ ফুট। মাঠের দৈর্ঘ্য ১১৮ ফুট ও প্রস্ত ১১৭ ফুট। যার তিন দিকে দুই স্তরের বসার গ্যালারি রয়েছে। মাঠের উত্তরপুর্ব কর্নারে প্রবেশের প্রধান ফটক ও দক্ষিণ ও পুর্ব কর্ণারে ছোট একটি গেইট রয়েছে। এ ছাড়া সর্বোপরি পুরো মাঠে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সবুজ ঘাস।

কেএস/এমআইআর/এডিবি