ন্যাভিগেশন মেনু

পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সংখ্যার দিক দিয়ে চীনের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়


চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত চীনে ৫৪টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট চালু এবং ২৩টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণাধীন ছিল। এক্ষেত্রে সংখ্যার দিক দিয়ে চীনের অবস্থান বিশ্বের দ্বিতীয়। চীনের জাতীয় পরমাণু নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার উপ-মহাপরিচালক ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান বিভাগের পরিচালক থাং পো বুধবার ২৯তম আন্তর্জাতিক পারমাণবিক প্রকৌশল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।

থাং পো জানান, পারমাণবিক শক্তির বিকাশ চীনের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে, পরিবেশের উন্নতি করতে, এবং ‘কার্বন শিখর’ ও ‘কার্বন নিরপেক্ষতা’র লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে। চীন পারমাণবিক শক্তির জন্য একটি ইতিবাচক, নিরাপদ এবং সুশৃঙ্খল উন্নয়ননীতি প্রতিষ্ঠা করেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চায়না নিউক্লিয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান ওয়াং শৌজুন বলেন, চীনের পারমাণবিক শক্তিপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। চীন ইতিমধ্যেই "হুয়ালং ১" এবং "কুওহে ১" নামক তৃতীয় প্রজন্মের পারমাণবিক শক্তি প্রযুক্তি আয়ত্ত করেছে।

ওয়াং শৌজুন বলেন, চীন একটি নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পারমাণবিক শক্তি বিকাশের পরিকল্পনা তৈরি করেছে। অনুমান করা যায় যে, ২০২৫ সালের মধ্যে চীনের  পারমাণবিক শক্তি অপারেটিং ইনস্টল ক্ষমতা প্রায় ৭ কোটি কিলোওয়াটে পৌঁছাবে।

উল্লেখ্য, ৮ থেকে ১২ আগস্ট বেইজিং এবং শেনচেনে ২৯তম আন্তর্জাতিক পারমাণবিক প্রকৌশল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে ২০টিরও বেশি দেশের ১২০০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করছেন। (সূত্র: সিএমজি)