ন্যাভিগেশন মেনু

পি কে হালদারের দেশত্যাগ: ৬৭ ইমিগ্রেশন পুলিশের তালিকা হাইকোর্টে


অর্থ আত্মসাত মামলার আসামী এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের দেশত্যাগের সময় বেনাপোল স্থলবন্দরে দায়িত্বে থাকা ৬৭ ইমিগ্রেশন পুলিশের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ মার্চ) পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তালিকা দাখিল করা হয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পি কে হালদারের পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও তাকে পালাতে সহযোগিতাকারী ইমিগ্রেশন, পুলিশ ও দুদকের কর্মকর্তাদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি পি কে হালদার মামলার আসামিদের জবানবন্দিতে যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছিলেন আদালত।

তিনি আরও জানান, ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরতদের তালিকা জমা দিতে ব্যাংকটির গভর্নরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ ঘটনায় পুলিশের ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছিল, দুদক থেকে তাদের কাছে দেরিতে চিঠি পাঠানোর কারণে পিকে হালদার পালিয়ে যায়। কিন্তু পিকে হালদারের দেশত্যাগের ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশের ওই তথ্য সঠিক নয় বলে হাইকোর্টে পাল্টা লিখিত জবাব দাখিল করেছে দুদক।

দুদকের পক্ষ থেকে লিখিত সে চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর পি কে হালদারসহ ২৪ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া চিঠি পরদিন ২৩ অক্টোবর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পাঠানো হয়, যা ইমিগ্রেশন গ্রহণ করেন।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান পি কে হালদার।

জানা যায়, দেশত্যাগের সময় পি কে হালদার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন।

ওয়াই এ/এডিবি