ন্যাভিগেশন মেনু

বিশ্ব এইডস দিবস ১ ডিসেম্বর


বিশ্ব এইডস দিবস আজ (১ ডিসেম্বর)। ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাবিশ্বে এইডস দিবস পালন করা হচ্ছে।

১৯৮৮ সাল থেকে এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাবিশ্বে ১ ডিসেম্বর এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

এইডস একটি ভয়ানক সংক্রামক রোগ। এইচআইভি নামক ভাইরাস রক্তে প্রবেশ করলে মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তখন অনেক রোগ একত্রে আক্রমণ করে ওই মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

জাতিসংঘের এসটিডি/এইডস বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউএন এইডসের গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতিদিন সাড়ে ৫ হাজার মানুষ নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৫০০ জনেরই বয়স ১৫ বছরের নিচে। আক্রান্ত ৩২ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছরের নিচে, যার ২০ ভাগই নারী।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের মোট এইডস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক লোক ৩৬ দশমিক ২ মিলিয়ন। মোট আক্রান্তের ১৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন নারী এবং ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন শিশু।

শুধু ২০১৮ সালে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন, যার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন।

একই সময়ে এইডস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার মানুষের। যার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ৬ লাখ ৭০ হাজার এবং শিশু ১ লাখ।

প্রতিবারের মতো এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাদেশে দিবসটি পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ  উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, দেশে এখনও সাধারণ জনগণের মধ্যে সংক্রমণের হার শূন্য দশমিক ০১ ভাগের নিচে। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী যেমন শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, সমকামী ও হিজড়াদের মধ্যে সংক্রমণের হার দুই শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের ২৩টি জেলা বেশি এইডস  ঝুঁকিতে রয়েছে। ১৯৮৯ সাল থেকে  দেশে এইচআইভি রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে মাসে একজন এইডস আক্রান্ত রোগীর পিছনে সরকারের খরচ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। যেসব জেলা এইডস-এর ঝুঁকিতে এগুলো হচ্ছে - ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, চাঁদপুর, সিলেট, মৌলভাবাজার, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, ও সাতক্ষীরা। 

ওয়াই এ/এডিবি