ন্যাভিগেশন মেনু

পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু: এসআই জাহিদসহ ৩ পুলিশের যাবজ্জীবন


রাজধানীর পল্লবী থানায় পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে যুবক জনি হত্যা মামলায় তৎকালীন পল্লবী থানার তিন পুলিশ সদস্য এস আই জাহিদ, এএসআই রাশেদুল ইসলাম, কামরুজ্জামান মিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার অন্য দুই আসামি সোর্স সুমন ও রাশেদকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের এটি প্রথম রায়।

রাজধানীর মিরপুরের ইরানি ক্যাম্প এলাকায় ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে পুলিশের সোর্স সুমনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক জনির। সেই রাতেই তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদসহ কয়েকজন পুলিশ জনিকে থানা হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে নিহত জনির ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি একই বছরের ৭ আগস্ট তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করে জনিকে হত্যার অভিযোগ এনে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন নিহতের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি। ওই দিন আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল জাহিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলায় মোট ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

ওআ/এডিবি