করোনা আতঙ্কে মধ্যে সুযোগ নিচ্ছে পেঁয়াজ বিক্রেতারা। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একইসঙ্গে ৫ ব্যবসায়ীকে ৬ মাস থেকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে যাত্রাবাড়ীর পেঁয়াজের আড়তে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
সারোয়ার আলম জানান, করোনার কারণে জনগণের মধ্যে একসঙ্গে কয়েকমাসের বাজার করার প্রবণতা দেখা গেছে। এই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম ৩-৪ গুণ বাড়িয়ে বিক্রি করা শুরু করেছে।
তিনি জানান, পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি ২৮ থেকে ৩১ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো। আর শুক্রবার তারা এই পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি।
খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছিলো ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে। অথচ বর্তমানে পেঁয়াজের সিজন। দেশে মজুদ পর্যাপ্ত থাকার পরও ব্যবসায়ী, আড়ৎদার মিলে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এসব অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সারওয়ার আলম বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যারা এই করোনাভাইরাস বা মানুষের অতিরিক্ত কেনাকাটার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। জনগণ ও ক্রেতাদের অনুরোধ করবো আপনারা একসঙ্গে ২-৩ মাসের বাজার করবেন না। আমরা পাইকারি খুচরা বাজারে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কে কতো টাকা নিচ্ছে তা নজরদারি করছি।
সিবি/এডিবি
আজকের বাংলাদেশ পোস্টে আরো পড়ুন:
