ন্যাভিগেশন মেনু

পৌনে ১৮ লাখ ইয়াবা ও ১ কোটি ৭০ লাখ টাকাসহ আটক ৫


কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলারে অভিযান চালিয়ে ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবা ও নগদ ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার টাকাসহ পাঁচ মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার উত্তর নুনিয়ার ছড়া মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম ফারুক (৩৭), একই এলাকার মো. মোজ্জাফরের পুত্র মো. নুরুল ইসলাম বাবু (৫৫), ফারুকের শ্বশুর আবুল হোসেনের পুত্র আবুল কালাম (৫৫) ও আবুল কালামের পুত্র শেখ আবদুল্লাহ (২০)।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ডিবি পুলিশকে সাথে নিয়ে পৃথক কয়েকটি টিম করে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে একটি ফিশিং ট্রলার থেকে ইয়াবা ভর্তি সাতটি বস্তা উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বস্তায় ২৫ থেকে ৩০ কার্টন ইয়াবা পাওয়া গেছে। যার পরিমাণ ১৪ লাখ পিস।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটককৃতরা মিয়ানমার থেকে বিশাল একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই ইয়াবা এদেশে নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে পুলিশি হেফাজতে রেখে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে ইয়াবা পাচারের মূলহুতা ইয়াবা গডফাদার জহিরুল ইসলাম ফারুক তার বাসায় ইয়াবা বিক্রির বিশাল অংকের টাকা মজুদ রাখার তথ্য প্রকাশ করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে ফের অভিযান চালিয়ে নগদ ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আটক ফারুকের চাচাশ্বশুর ছৈয়দ আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরও ৩ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবাসহ ছৈয়দ আলমের স্ত্রী ছমিরাকে আটক করে জেলা পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এটি একটি মাদক পাচারের বিশাল সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকলেও আইনের আওতায় আসেনি। সর্বশেষ মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুইজনকে আটক করা হয়। পাশাপাশি তাদের সিন্ডিকেটে আর কারা আছে তা সনাক্তের কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত থেকে গোপন সংবাদে খবর পেয়ে ইয়াবা পাচারকারী চক্রটিকে আটকের জন্য অভিযানে নামে পুলিশ। পুলিশ সুপারসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী নদীর তীর থেকে এসপির নেতৃত্বে থাকা টিমটি এই বিশাল ইয়াবার চালান আটক করতে সক্ষম হয়। পরে আটককৃত ফারুকের তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে নগদ এক কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, এই ইয়াবা সিন্ডিকেটে যারা জড়িত রয়েছে তাদের সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি অভিযান শেষে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

এস এ এম/ এস এ /এডিবি