প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসায় এগোলে ব্যবসা টিকে থাকবে। যারা প্রতিযোগিতায় না আসবেন তাদের অবস্থা হবে সিটিসেলের মতো । আর বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার টিসিবি মিলনায়তনে 'ব্যবসায়ী ও ক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকরণ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি একথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতা কমিশনের দায়িত্ব জনসাধারণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। তাদের সচেতন করা। ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকলে পণ্যের ন্যায্যমূল্য থাকবে। নতুন করে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। বাজার স্থিতিশীল থাকবে।
পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা পেঁয়াজ সাধারণতঃ ভারত থেকে আমদানি করি। তবে ভারত হঠাৎ করেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। পেঁয়াজের যে ঘাটতি ছিল এমনটা নয়। ভারতে থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই খবর পেয়ে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেয়।
তিনি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিমানে করে দেশে পেয়াজ এনেছি। এছাড়া টিসিবি ট্রাকে করে পেঁয়াজের বিক্রি করায় এখন পেঁয়াজের দাম অনেক কমে এসেছে। আমরা সব সময় চাই উৎপাদনকারী ও ক্রেতা যেন ন্যায্য মূল্য পায়। তবে এসব নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিকা কমিশন কাজ করছে। এ সময় তিনি বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করে দেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার সব সময় চায় মানুষ যেন ভালো থাকে। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষুধা , দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা। মানুষ যেন শিক্ষিত হয়, তারা যেন কোনো রকম কষ্ট না পায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, বাজারে প্রতিযোগিতার মানে হচ্ছে মেধা ও সৃজনশীল উকৃষ্ঠতার স্বীকৃতি। যিনি উৎপাদন করেন এবং যিনি ক্রেতা উভয়ের স্বার্থ দেখতে হবে।
পেঁয়াজের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, পেঁয়াজের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আমরা বিদেশ থেকে পেঁয়াজ এনেছি। কারণ বর্তমান সরকার জনকল্যাণমুখী সরকার।
তিনি বলেন, আমরা পণ্যের মজুদ বাড়ানোর চেষ্টা করবো। যারা কারসাজি করবে তাদের শাস্তির আওতায় আনবো।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন আয়োজিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
আর এ টি/ এস এস